এমপিওভুক্ত না হওয়ায় বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি পর্যায়ের শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে কলেজে ডিগ্রি কোর্স চালু ও ২০১০ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধিভুক্তির পরও ডিগ্রি পর্যায়ের শিক্ষকরা এখনও এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। বিগত ১০ বছর ধরে কলেজের ডিগ্রি পর্যায়ের শিক্ষকরা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে চলছেন।
জানা যায়, শেখ হেলাল উদ্দীন ডিগ্রি কলেজটি ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে প্রায় সাড়ে সাত একর জমির উপর প্রতিষ্ঠা করা হয়। সহস্রাধিক শিক্ষার্থী বর্তমানে অধ্যয়নরত কলেজটিতে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কলেজটি এমপিওভুক্ত হয় ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে।
বর্তমানে ডিগ্রি পর্যায়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৬১ জন। পাসের হার ধারাবাহিক ভাবে ৮০ শতাংশের বেশি। কলেজ সংলগ্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই কলেজকে কেন্দ্র করেই এই এলাকার ব্যাপক শিক্ষার বিস্তার ঘটেছে।
কলেজের অধ্যক্ষ বটু গোপাল দাস বলেন, “ডিগ্রি পর্যায়ে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারি ১৮ জন। এই দীর্ঘ সময়েও ডিগ্রি পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মচারি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তিনি বলেন, এমপিওভুক্ত করার জন্য শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার প্রদান করেছেন। এমপিওভুক্তির জন্য বিভিন্ন সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চাহিদাও নেওয়া হয়েছে কিন্তু আমরা এখনও কোন সুখবর পাইনি।
দ্রুততার সঙ্গে ডিগ্রি শিক্ষক ও কর্মচারিদের এমপিওভুক্তির দাবি করেন তিনি। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বেতাগা ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে শিক্ষার মান ভীষণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অধিভুক্তি দেওয়ার আগে মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা দরকার ছিল।