নওগাঁর আত্রাইয়ে ৮টি দাখিল মাদ্রাসা যুগ যুগ ধরে এমপিওভুক্ত থেকে বঞ্চিত। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারিরা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সেই সাথে অনেকেই পাঠদানের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। যথারীতি পরিচালনা পরিষদের নিয়ম অনুযায়ী এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারি নিয়োগ প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় গড়ে উঠেছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো নন্দনালি দাখিল মাদ্রাসা, বড়াইকুড়ি দাখিল মাদ্রাসা, আটগ্রাম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, চাপড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, পাইকড়া বিলবাড়ি দাখিল মাদ্রাসা, হাটকালুপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, উদন পৌ দাখিল মাদ্রাসা ও ফটকিয়া বাঁশবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসা।
প্রতিষ্ঠানগুলোতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারিবৃন্দ প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই বিনা বেতনে এলাকায় শিক্ষার আলো বিস্তারে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তারা এমপিওভুক্তির আশায় প্রহর গুনতে থাকলেও অদ্যাবধি এসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়ায় তাদের ভাগ্যে জোটেনি সরকারি বেতন ভাতা। এমতাবস্থায় দীর্ঘদিন চাকরি করেও সরকারি কোন বেতন-ভাতা না পাওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারিদের মধে চরম হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলার উদন পৌ দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজামান বলেন, আমাদের এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৯৭৮ সালে স্থাপিত হয়েছে। আমরা ১৫ জন শিক্ষক ও কর্মচারি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই বিনা বেতনে এলাকায় শিক্ষার আলো বিস্তার করে আসছি। প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা এখন মানবেত জীবন যাপন করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ তারিকুল আলমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এমপিওভুক্তির ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো শুরু থেকেই আশানুরুপ ছাত্র-ছাত্রী আছে এবং তারা প্রতি বছরেই ভালো ফলাফল করে আসছে। এখন দীর্ঘ সময় চাকুরি করেও বেতন না পাওয়ায় শিক্ষক-কমৃচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাই প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্তি আশু প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
এদিকে উপজেলার সচেতন মহল মনে করছেন শিক্ষায় অগ্রগতি ও এলাকায় শিক্ষার আলো বিস্তারে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অতিদ্রুত এমপিওভুক্ত করা প্রয়োজন।