এখন থেকে এমপিওশিটে সই করবেন সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কর্মকর্তাগণ। দুই মাসান্তে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থাপিত ও অনুমোদিত এমপিওশিটে সই করতে হয় অধিদপ্তরের পরিচালক, উপ-পরিচালক ও সহকারি পরিচালকসহ শিক্ষা অফিসারদের। এমপিওশিট প্রিন্ট হয় মাউশি অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলে।
প্রতি দুই মাসে একবার শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্তকরণের সভা অনুষ্ঠিত হয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে। অনলাইনে এমপিওভুক্তি চালু হওয়া থেকে অদ্যাবধি এমপিওভুক্তির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকেন না অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তা। উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসার ও ৯টি আঞ্চলিক উপ-পরিচালকগণই এমপিভুক্তির দায়িত্বপ্রাপ্ত।
অনলাইনে এমপিওভুক্তি চালু করার পর দুর্নীতি বেড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে অভিযোগ, বিভাগীয় তদন্ত, দুদকের তদন্তে মুখোমুখি হতে হচ্ছে অধিদপ্তরের অফিসারদের। তাই এমপিওশিটে সই করা থেকে রেহাই পেতে চাচ্ছিলেন তারা। তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে গত ২১ আগস্ট মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ মো: ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় নতুন এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিদ্ধান্তে বলা হয়, ‘এমপিও বিকেন্দ্রকরণের পর থেকে নতুন এমপিও ও সংশোধন, সহকারি অধ্যাপক স্কেল, বিএড স্কেল ইত্যাদি কাজগুলোর অনুমোদনের বিষয়টি মাউশি অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে সম্পন্ন হয়। তবে, এমপিওশিট প্রিন্ট হয় ইএম আই এস সেল থেকে। প্রিন্ট হওয়ার পর অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখার উপ-পরিচালক ও সহকারি পরিচালক পর্যায়ের অফিসারগণ এমপিওশিটে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু এমপিও অনুমোদনের বিষয়টির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সেকারণে পরবর্তী এমপিওশিটে অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ স্বাক্ষর করবেন –মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’