এমপিওভুক্তিতে চলমান দুর্নীতি, অনিয়ম ও জালিয়াতি নিয়ে দৈনিকশিক্ষাডটকম পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো: আফছারুল আমীন। সভাপতির প্রশ্নের জবাব দেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইন।
সচিব কমিটিকে জানান, দৈনিকশিক্ষায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে ইতোমধ্যে কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দৈনিকশিক্ষায় প্রকাশিত আরো কয়েকটি প্রতিবেদনের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মতামত চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও সুনির্দিষ্ট আরও কোন বিষয় থাকলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা যায়, দৈনিকশিক্ষায় প্রকাশিত এমপিওভুক্তিতে দুর্নীতি ও জালিয়াতিসহ সংসদীয় কমিটিকে শিক্ষা অধিদপ্তরের দেয়া ভুল ব্যাখ্যার বিষয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন কমিটির সভাপতিসহ অন্যান্য সদস্যরা গুরুত্বসহকারে আলোচনা করেন।
বৈঠক শেষে সভাপতি আফছারুল আমীন দৈনিকশিক্ষাডট্কমকে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর ও সংস্থায় পদায়ন নীতিমালা-২০১৭ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। নীতিমালা অনুসারে পদায়ন পেতে আগ্রহী বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের আবেদন দাখিলের সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি ও সময় নিধারণ, মন্ত্রণালয় কর্তৃক সাক্ষাতকার গ্রহনের মাধ্যমে ফিটলিস্ট তৈরী, চাকুরী জীবনে অনধিক তিনবার তবে সর্বমোট ছয় বছরের বেশী দপ্তর, অধিদপ্তর ও সংস্থায় কর্মরত না থাকা ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিতে বৈঠকে সুপারিশ করা হয যে, সরকার জরুরী প্রয়োজনে যে কোনো শিক্ষককে যে কোনো সময় যে কোনো দপ্তর, অধিদপ্তর ও সংস্থায় পদায়ন করলেও তা যেন তিন বছরের অধিককাল না হয়।
কমিটির সদস্য শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, মোঃ ছলিম উদ্দীন তরফদার, গোলাম মোস্তফা, এস. এম. আবুল কালাম আজাদ, মোহাঃ মামুনুর রশিদ এবং সেলিনা আক্তার বানু বৈঠকে অংশগ্রহন করেন।
সভায় চট্টগ্রামের একটি স্কুলের এমপিও জটিলতা নিয়ে জানতে চাইলে কোনো তথ্য দিতে পারেননি মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান। জরুরি ভিত্তিতে অধিদপ্তরের এমপিও কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন সোমবার সকালে।