এমপিওভুক্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করা ও এমপিও দুর্নীতিতে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুনের ব্যাখ্যা তলব করেছে ক্ষুব্ধ মন্ত্রণালয়। কয়েকটি চিঠিতে এসব ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।
২০১১ খ্রিস্টাব্দের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনা অনুযায়ী এমপিওভুক্তির সকল ভুল-ত্রুটি, দায়-দায়িত্ব মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের।
মহাপরিচালককে পাঠানো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক ঠিতে বলা হয়, ‘২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ১৩ আগস্ট, নারায়ণগঞ্জ কলেজের ইংরেজি প্রভাষক রোকসানা করিমকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশ দিলেও তা মানা হয়নি।
চিঠিতে বলা হয়, ‘এমতাবস্থায় বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা ও এলোকেশন অব বিজনেস ও সচিবালয়ের নির্দেশমালা বাস্তবায়ন পূর্বক গৃহীত ব্যবস্থা মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হলো।’
উল্লেখ্য, মাউশি অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা সরকারি সরকারি কলেজ ও স্কুল থেকে বদলিভিত্তিক নিয়োগ পান।
অভিজ্ঞ শিক্ষক নেতাদের মতে, সরকারি কলেজ শিক্ষকরা এমপিওর বিষয়াদি বোঝেন না। তাই এমপিও শাখায় অভিজ্ঞ ও সৎ বেসরকারি শিক্ষকদের প্রেষণে বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া উচিত।
বেসরকারি শিক্ষকরা দৈনিকশিক্ষার কাছে শত শত অভিযোগে বলেছেন, শিক্ষা অধিদপ্তরে গেলে সরকারি কলেজ শিক্ষকরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা বেসরকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা অধিদপ্তর গঠনের দাবি জানান। তারা বলেন, শতকরা ৯৭ ভাগ প্রতিষ্ঠান বেসরকারি। অথচ এদের মাথাও ওপর সরকারি শিক্ষকদের বসিয়ে রাখা হয়েছে যারা কি-না বি সি এস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মাত্র কয়েককোটি টাকার হিসেব নিকেষই রাখতে পারেন না।