দীর্ঘ ভোগান্তির পর ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা বিষয়গুলো এমপিও সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমপিও প্রক্রিয়াকরণ ও বিতরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ইএমআইএস সেলের সিস্টেম এনালিস্টকে মঙ্গলবার (১৩ ই ফেব্রুয়ারি) নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর।সফটওয়্যারে এ বিষয়গুলো যুক্ত না করেই নতুন সফটওয়্যার তৈরি করেছে শিক্ষা অধিদপ্তরের কতিপয় অদক্ষ পরিচালক ও এমপিও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। ফলে শত শত এমপিওপ্রত্যাশী এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদনই করতে পারছেন না।
কলেজ পর্যায়ে বৈধভাবে নিয়োগ পেয়ে নিয়মিত পাঠদান করে আসছেন ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা বিষয়ের প্রভাষকরা। তারা এমপিওভুক্তির জন্য আন্দোলন সংগ্রামও করেছেন। অবশেষে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ১৩/১১’র পরিপত্র বাতিল করায় তাদের এমপিওভুক্তির পদ সুগম হলেও এমপিও সফটওয়্যারে এই বিষয়গুলো যুক্তই করা হয়নি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসনিক পদে কর্মরত বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ শিক্ষকদের অদক্ষতায় এই বিষয়গুলো এমপিও সফটওয়্যারে যুক্ত করা হয়নি বলে জানা যায়। সিনোসিস আইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র তিন বছর আগে ওই এমপিও সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়। এই কোম্পানিটির মালিকানায় রয়েছে অধিদপ্তরের বিতর্কিত পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্য্যাপক মো: এলিয়াছ হোসাইন। নানা দুর্নীতির অভিযোগে তাকে সরকারি বৃন্দাবন কলেজে বদলি করা হয়েছে গত বছর।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষ হতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা বিষয়টি আবশ্যিক বিষয় হিসেব অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ৩১শে ডিসেম্বরের প্রত্রের বিধি অনুয়ায়ী ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা বিষয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এমপিও সফটওয়্যারে কলেজ পর্যায়ে ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা বিষয় অন্তর্ভুক্ত না থাকার কারণে প্রতিষ্ঠান থেকে উক্ত বিষয়ের প্রভাষকরা এমপিওভুক্ত করার জন্যে আবেদন করতে পারছেন না।