সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের নামে উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা গতকাল বুধবার বিক্ষোভ করে।
বোর্ড নির্ধারিত ফি অনুযায়ী বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫৪৫ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৪৪৫ টাকা করে আদায় করার কথা; কিন্তু জালসা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন, কোচিং ফিসহ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার ৪০০
টাকা করে আদায় করছে। এ বিদ্যালয় থেকে এবার ২০০ শিক্ষার্থী অতিরিক্ত ফি দিয়ে এসএসসির ফরম পূরণ করছে।
গতকাল বুধবার জালসা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে যায় মিজানুর রহমান, অলি হোসেন, হাবিবুর রহমান, সুমন ও সুমি আক্তার। এ সময় প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন তাদের কাছে ৫ হাজার ১০০ ও ৫ হাজার ৪০০ টাকা করে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে জালসা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে বোর্ড ফি ১ হাজার ৮৫০ টাকা, কোচিং ফি ১ হাজার, ফেল করা প্রতি বিষয়ের জন্য ৩০০ টাকা, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফি ১ হাজারসহ ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার ৪০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানেন। শুধু জালসা উচ্চ বিদ্যালয়ই নয়, একই কায়দায় ধামরাইয়ের প্রত্যাশা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, আমতা হরলাল উচ্চ বিদ্যালয়সহ উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসএসসির ফরম পূরণের জন্য অতিরিক্ত ফি আদায় করছে।
প্রত্যাশা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভিন আক্তার বলেন, বোর্ড যদি নির্দেশ দেয় তবেই অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নায়ার সুলতানা বলেন, অতিরিক্ত টাকা ফেরত না দিলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউএনও আবুল কালাম বলেন, অভিযোগ পেলে ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।