এসএসসির মার্কশীট আটকিয়ে টাকা আদায় - দৈনিকশিক্ষা

এসএসসির মার্কশীট আটকিয়ে টাকা আদায়

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি |

রাজশাহীর দুর্গাপুরে এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠান বেলঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মার্কশীট আটকিয়ে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ওই বিদ্যালয়ের শতাধিকের উপর উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

তবে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন স্কুলের অনেক টাকা ঋণ আছে ও উন্নয়ন মূলক কাজের দোহায়ে ওই টাকা নেওয়া হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠান বেলঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ১২১জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। পরে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন কলেজ ভর্তি হতে থাকে। পরে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মার্কশীট নিতে এলেই টাকার জন্য বেঁকে বসছেন ওই প্রতিষ্ঠার প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার।

১২১ জন উত্তীণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের কাছে থেকে ৩শত টাকা করে ধার্য করে বসেন তিনি। যারা ৩শ’ টাকা করে দিতে পারছেন না তাদের আটকিয়ে দেওয়া হচ্ছে মাকশীর্ট। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে ওই বিদ্যালয়ের এবারের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১২১ জন উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, বিদ্যালয়টি থেকে এবছরে এসএসসি পরীক্ষায় ১২১ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। পরে তারা অনলাইনে বিভিন্ন কলেজ ও পলিটেকনিক্যালে ভর্তি ফরম পূরণ করেছে। এরমধ্যেই কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় মার্কসীট হাতে না পাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

তারা আরো জানান, প্রধান শিক্ষক এই পর্যন্ত টাকা নিয়ে মাত্র ১২টি মার্কশীট ছাড় দিয়েছেন। আর বাকি গুলো এখনো টাকার জন্য আটকিয়ে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার। ফলে তাদের ভর্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

বেলঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার জানান, আমাদের বিদ্যালয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য বর্তমানে ঋণে জর্জরিত। টাকা নেওয়া হচ্ছে সত্য। তবে এটা মার্কশীটের জন্য না। আমরা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করণে তাদের থেকে যাই যা পারছে তা গ্রহণ করছি।

তিনি আরো জানান, এই পর্যন্ত ১২জন শিক্ষার্থী তাদের মার্কশীট নিয়ে গেছে। আর বাকি গুলো এখনো বিদ্যালয়ে আছে।

উপজেলা ম্যাধমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আখতার জাহান জানান, মার্কশীটের জন্য প্রতিষ্ঠান কোন টাকা নিতে পারবে না। এটা সম্পূন্ন আইন বর্হিভূত কাজ। অভিযোগ পেলে তা প্রমানিত হলে দোষী ওই প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষা কর্মকর্তা।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003486156463623