নাটোরের লালপুর উপজেলার শালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হকের বিরুদ্ধে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
চলতি জেএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণেও অতিরিক্ত অর্থ আদায়, অনিয়ম, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
লালপুর উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তার নিকট সোমবার বিকেলে এলাকাবাসীর দেয়া লিখিত আবেদনে বলা হয়, শালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বিনা রশিদে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন। এর আগে জেএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে তিনি একই কায়দায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছেন। আদায়কৃত অর্থ তিনি অফিসে জমা করেন না এবং হিসাবও দেন না। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মানবিক বিভাগে ১ হাজার ৪৫০ টাকা, বিজ্ঞান বিভাগে ১ হাজার ৫৪০টাকা এবং ১ বিষয়ের জন্য ৩৩০ টাকা ফরম পূরণ ফি নির্ধারণ করলেও শালেশ্বর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সে ক্ষেত্রে মানবিক বিভাগে ২ হাজার ৬০০ টাকা, বিজ্ঞান বিভাগে ৩ হাজার টাকা এবং ১ বিষয়ের জন্য ১ হাজার টাকা আদায় করছেন। কোন শিক্ষার্থী আপত্তি করলে তাকে প্রবেশপত্র ও রেজিষ্ট্রেশন কার্ড না দেয়ার হুমকি দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ দিতে বাধ্য করছেন। অন্যতম অভিযোগকারী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ মুসা সরকার ও স্কুলের ছাত্রী অভিভাবক মোঃ আলতাফ হোসেন প্রধান শিক্ষকের এধরণের দায়িত্বহীন কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারদাবী করেছেন।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের কাছে মঙ্গলবার বিকেলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, লালপুরের শালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়সহ আরও ২ থেকে ১টি স্কুরের বিরুদ্ধে এসএসসি ফরম পূরনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ তদন্ত করার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আসাদুজ্জামানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তে অফিযোগ প্রমাণিত হলে এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করলেও প্রায় ২ বছর কাল যাবৎ স্কুলে কোন ম্যানেজিং কমিটি না থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। ব্যাংকিং না করার বিষয়ে তিনি বলেন, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিনা বেতনে পড়ানো হয়। কোন আয়-ইনকাম নাই বলে ব্যাংকিং করা হয় না।