চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতা মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটককৃত ছাত্রলীগ নেতা মামুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রব হলের সামনে থেকে রোববার মধ্যরাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী থানার ওসি (তদন্ত) মুজিবুর রহমান। কি কারণে এবং কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কিনা, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য- গ্রেফতারকৃত মামুন সদ্য নিহত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর অনুসারী।
এ দিকে চট্টগ্রামে সফরে আসা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মরদেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসক টিমের সামনেই দিয়াজের অনুসারীদের উপর হামলার এবং একই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুর রব হলে দিয়াজের অনুসারীদের বেশ কিছু কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
দিয়াজের বাসা পরিদর্শন শেষে রোববার বিকেল চারটার সময় ওই চিকিৎসক দল প্রথম ময়নাতদন্ত করা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে আসেন। এ সময় দিয়াজের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও তার অনুসারীরা চমেক হাসপাতালের নিচ তলায় অবস্থান করেন। এর একটু পরেই দিয়াজের অনুসারীদের উপর হামলায় কামরুল ও রিয়াদ নামে, দিয়াজের দুই অনুসারী আহত হন। তাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান দিয়াজের বড় বোন অ্যাডভোকেট জুবাঈদা ছরওয়ার নিপা। চমেক হাসপাতালের ছাত্র সংসদের ভিপি নাবিদ আনজুম তানভীর হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেন বলে জানান তিনি।
এর আগে, দলে বিশেষ করে ছাত্রলীগের শৃঙ্খলা ফেরানোর মিশনে নেমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম এসে সই মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় বৈঠক করে ছাত্রলীগকে ‘ভালো’ হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, অন্যথায় সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে শাসিয়ে গেছেন তিনি। তাঁর কঠোর নির্দেশনার এক সপ্তাহ যেতে না যেতে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে চট্টগ্রাম ছাত্রলীগ।