কওমি শিক্ষার স্বীকৃতি ও দেশের শিক্ষা - দৈনিকশিক্ষা

কওমি শিক্ষার স্বীকৃতি ও দেশের শিক্ষা

শাহ মো. জিয়াউদ্দিন |

সম্প্রতি সরকার কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে-ই-হাদিস ডিগ্রিকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সমমানের মর্যাদা দিয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠেছে অন্য স্তর নিয়ে অর্থাৎ দাওরায়ে-ই-হাদিসে ভর্তি হওয়ার জন্য একজন শিক্ষার্থীর কোন ডিগ্রির প্রয়োজন পড়বে। বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় সাধারণত আমরা জানি, একজন শিক্ষার্থী স্নাতক পাসের পর স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ভর্তি হন। স্নাতক পাসের শিক্ষা কারিকুলামের যোগ্যতানুসারে স্নাতকোত্তর কোর্সে একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে থাকে। আর স্নাতক পর্যায়ের অধ্যায়নের শিক্ষা কারিকুলাম যা থাকে তা ইউজিসি কতৃক নির্ধারিত সূচকের ভিত্তিতে তৈরি হয়। দাওরায়ে-ই-হাদিসকে যদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেয়া হয় তাহলে এই কোর্সে ভর্তির হওয়ার জন্য যে ডিগ্রিটি অর্জন করতে হবে বা যে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে তা কি স্নাতক সমতুল্য বা সমমান হবে, নাকি ভিন্ন কিছু। আমাদের দেশে যারা কওমি শিক্ষা কোর্স পরিচালনা করছেন তারা বলছেন শুধু দাওরায়ে-ই-হাদিসকে স্নাতকোত্তরের সমমান দিলেই তাদের চলবে। কওমি মাদ্রাসার সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারের কি ধরনের মনিটরিং থাকবে তাও পরিষ্কার হওয়া দরকার। দেশের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এবং আন্ডার গ্র্যাজুয়েট স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক দেখাশোনা করার জন্য ইউজিসি রয়েছে। দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোও কি ইউজিসির অন্তর্ভুক্ত হবে, নাকি এখানে ভিন্ন উচ্চশিক্ষা স্তর হবে তা স্পষ্ট হওয়া দরকার।

সম্প্রতি শিক্ষা বিষয়ক এক এনজিও আয়োজিত সেমিনারে শ্রোতা ছিলাম, সেমিনারটি ছিল Accountability for SDG4 and citizen participation Stand up for education; time to deliver । অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। আমি উন্মুক্ত আলোচনায় (যা শ্রোতাদের জন্য) কিছু বলার সুযোগ পাই। আমি কওমি শিক্ষার দাওরায়ে-ই-হাদিসের পূর্ববর্তী শিক্ষার যে ধাপগুলো আছে তার জবাবদিহিতা কি রকম হবে সে বিষয়টি নিয়ে কর্মশালার আয়োজকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করি। কিন্তু সেমিনারটিতে উল্লেখিত বিষয়টি আলোচনায় আসেনি। জনৈক মুখ্য বক্তা যা বললেন তাতে আমি বিস্মিত হই। তিনি কওমি শিক্ষার সম্পর্কে সাফাই গাইলেন এমনভাবে যেন কওমি শিক্ষার বিষয়বস্তু এদেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন ভাবে আসছে, এর আগে সরকারি অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কওমির বিষয়গুলো পড়ানো হতো না। দেশের পাবলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে যে শিক্ষা কারিকুলাম পড়ানো হয় তাতে হাদিস, আল-কোরআনসহ অন্যান্য ইসলামিক বিষয়াবলী অন্তর্ভুক্ত। তাই কওমি মাদ্রাসাগুলো যে শিক্ষা, ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে দিচ্ছে বা দেবে তা যথারীতি চালু আছে দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায়। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক পর্যায়েও ইসলামিক স্টাডিজ পড়ানো হয়। একজন শিক্ষার্থীর দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে স্নাতক সম্মান, স্নাতকোত্তর এবং এমফিল, পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে। সেই বিষয়টি সম্পর্কে বক্তা কতটুকু জানেন তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সম্যক ধারণা না নিয়ে যারা শিক্ষা ব্যবস্থার মান বাড়ানোর জন্য আলোচনা করছেন তাতে করে কি শিক্ষা ব্যবস্থা মানসম্মত হবে। accountability of education বলবেন অথচ তার স্তরভিত্তিক জবাবদিহিতার বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন না তাহলে কি আদৌ মানসম্মত শিক্ষার জন্য অ্যাডভোকেসি করা হচ্ছে। তাছাড়া সেমিনারটির ধারণাপত্রে উল্লেখ করা আছে Ensure inclusive and equitable quality education and promote lifelong learning for all তাহলে কওমি শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে মূল ধারার শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন করাটা কি ঠিক, নাকি প্রচলিত শিক্ষা বোর্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আওতাধীন আনা দরকার। দেশে এনজিওগুলো সার্বিক শিক্ষার মান সম্পর্কে এ ধরনের সেমিনারের আয়োজন করছে তাতে কি শিক্ষার মান বাড়ছে?

কওমি শিক্ষাকে প্রাচীনতম শিক্ষা হিসেবে হেফাজত নেতারা আখ্যা দিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যে কওমি শিক্ষা কতটুকু প্রাচীন তাও বিচার্য বিষয়। উপমহাদেশে কওমি শিক্ষা কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ১৮৬৬ সালে। ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর জেলার দেওবন্দ নামক স্থানে আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম দেওবন্দ নামে। বর্তমানে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানে কওমি মাদ্রাসা বহুল প্রচলিত। উপমহাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের অনেক দেশেও এখন কওমি মাদ্রাসার প্রচলন শুরু হয়েছে। দেশের কওমি মাদ্রাসাসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের শুরুতে ধারণা দেয়া হয়, পার্থিব সুযোগ-সুবিধার জন্য এ শিক্ষা নয়। এলমে দ্বীন অর্জন, আল্লাহর সন্তুষ্টি আর ইসলাম প্রচারের জন্য এই শিক্ষা গ্রহণ। কওমি মাদ্রাসায় ভর্তির কোন নির্দিষ্ট বয়স সীমা নেই।

কওমি মাদ্রাসার শব্দের গোড়াপত্তন হয় কওম শব্দ থেকে। কওম আরবি শব্দ এর বাংলায় সমার্থক অনুবাদক শব্দ হলো, গোষ্ঠী, গোত্র, জাতি বা সম্প্রদায়, জনগণ, আর এ অর্থ ধরে কওমি সমার্থক বাংলা শব্দ হয়_ গোত্রীয়, জাতীয়, জনগণ সম্পর্কিত। কওম এবং কওমি শব্দ দুটি উর্দু এবং ফারসি ভাষায় একই অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মাদ্রাসাও আরবি শব্দ যার বাংলা করলে অর্থ দাঁড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই কওমি মাদ্রাসার বাংলা অর্থ নানাভাবে বলা যায় যেমন, গোত্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সম্প্রদায়গত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা জনগণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে। তাই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে তার যথার্থ বাংলা নামকরণ কি হওয়া উচিত। তবে কোন কওমি মাদ্রাসার নাম বাংলা শব্দ দিয়ে নামকরণ করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে উপমহাদেশে ভেতরে এবং বাইরে এ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাধারণত দারুল উলুম বা দেওবন্দি মাদ্রাসা নামে পরিচিত। বাংলাদেশে কওমি শিক্ষা ব্যবস্থার আওতাধীন সারা দেশে কত মাদ্রাসা আছে, কতজন শিক্ষার্থী সেগুলোতে অধ্যয়ন করছে তার সঠিত পরিসংখ্যান পাওয়া কষ্ট কর। কারণ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত হয় না, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দান-অনুদানে। সাধারণত মাদ্রাসাগুলোর আর্থিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় শিক্ষার্থীর বেতন (তবে দরিদ্র শিক্ষার্থীর বেতন নেয়া হয় না), বিভিন্নজনের চাঁদা, কোন প্রতিষ্ঠানের অনুদান, দান-খয়রাত, জাকাত, ফিতরা, মানত, সাদকা, কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহসহ এ জাতীয় উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করার মাধ্যমে। দেশে কিছু সংখ্যক কওমি মাদ্রাসা বিদেশি অনুদানে পরিচালিত হয় বলে জানা যায়।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে জানা যায়, মাদ্রাসার সংখ্যার সঠিক তথ্য না থাকলেও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট ২০১৩ তে বলা হয়েছে সারা দেশে ১৫ হাজার মাদ্রাসা রয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যন ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ২০১৫ সালের তথ্য মতে সারা দেশে কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা ১৩ হাজার ৯০২টি তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, সারা দেশে কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা ২০ হাজারের কম নয়। ব্যানবেইসের তথ্যানুসারে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ আর সংশ্লিষ্টদের দাবি ২০ লাখের উপরে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ২০০৮ সালে ‘কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা’ নামে একটি সমীক্ষা চালায়। এ সমীক্ষার জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ব্যানবেইস বাধার মুখে পড়ে। মাদ্রাসাগুলো নিজেরা তথ্য দিতে অপরাগতা জানায়। ব্যানবেইস দেশের সবচেয়ে বড় কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ঢাকার বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ বেফাকের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তাদের সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করে। ওই বোর্ডের দেয়া তথ্যানুযায়ী দেশে পাঁচ হাজার ২০০ কওমি মাদ্রাসায় আনুমানিক ১৪ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে।

একটি দূতাবাসের সংগৃহীত তথ্যানুযায়ী বলা হয়, দেশে কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা ২৩ থেকে ৫৭ হাজার । মাদ্রাসাগুলোতে প্রায় দুই লাখের মতো মানুষ কর্মরত রয়েছেন। মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষকদের জন্য কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকও নেই। সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা সমন্বয়হীনতা। সারা দেশের সব কওমি মাদ্রাসাগুলোতে একই ধরনের শিক্ষা সিলেবাস শ্রেণী অনুসারে এক নয়। মাদ্রাসাগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একাধিক শিক্ষা বোর্ড। দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুকরণে চালু হওয়া কওমি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রায় ১৫ হাজার মাদ্রাসার ওপর কারও কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। নেই অনুসরণীয় পাঠক্রম। শিক্ষা বোর্ডগুলোর পারস্পারিক সমন্বয় না থাকায় একীভূত কওমি শিক্ষার ব্যবস্থাও নেই পাঠ্যসূচির। ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসার শিক্ষার মাধ্যম মূলত হলো উর্দু। বাংলাদেশে দেওবন্দের অনুকরণে যে মাদ্রাসাগুলো চালু আছে তারাও উর্দু মাধ্যমে ইসলামিক শিক্ষাদান করে। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা কারিকুলামে সাধারণত আল-কোরআন, হাদিস, তাফসির, ফিকাহ, কালাম, আরবি সাহিত্য, উর্দু ও ফার্সি অন্তর্ভুক্ত।

বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসায় দেওবন্দ মাদ্রাসার সিলেবাস অনুযায়ী যে কিতাবগুলো পড়ানো হয় সেগুলো উর্দু ভাষায় রচিত। তাই কওমিতে অধ্যয়নরত সব শিক্ষার্থীদের উর্দু শিখতে হয়। তাহলে বিষয়টা কি দাঁড়ায়? যে কোন একটি প্রক্রিয়ায় উর্দুকে এ দেশের শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে অনুপ্রবেশ ঘটানো হচ্ছে। যদি ধর্মীয় মতে অর্থাৎ ইসলাম ধর্মের বিষয়গুলো আরবি ভাষায় শেখানো প্রয়োজন হয় তাহলে আরবিতে নয় কেন। পবিত্র কোরআন শরিফ নাজিল হয়েছে আরবিতে আর সব হাদিস আরবিতে গ্রন্থিত। উর্দুতে না পড়িয়ে উল্লেখিত হাদিসের কিতাবগুলো বাংলায় অনূদিত করে পড়ানোর ব্যবস্থা করা দরকার।

একটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, গত ১৮ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কওমি শিক্ষা সম্পর্কিত বিষয়ে সভায় সরকার কওমির নিচের স্তরগুলোকে ধারাবাহিকভাবে স্বীকৃতি দিতে চাইলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তা মানতে নারাজ তারা শুধু দাওরায়ে-ই-হাদিসকে স্নাতকোত্তর স্বীকৃতি চান। দাওরায়ে-ই-হাদিসকে স্বীকৃতি দিলে অন্য স্তরের শিক্ষার মনিটরিং কি হবে বা তার সেই শিক্ষা ব্যবস্থার জবাদিহিতাই বা কতটুকু থাকবে। অন্য বিষয়গুলোর যদি সমমান না থাকে কোন সূচকের ভিত্তিতে বোঝা যাবে একজন শিক্ষার্থী দাওরায়ে-ই-হাদিস পড়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।

কওমির মাদ্রাসা ছাড়াও দেশে রয়েছে আরেকটি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা। দেশের মাদ্রাসা শিক্ষায় রয়েছে বাংলা, ইংরেজি, আরবি, পদার্থ, রসায়নসহ কিছু বিষয় যা সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ানো হচ্ছে। তাছাড়া ইসলামিক বিষয়গুলোও সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পড়ানো হয়। দুই ভাগে বিভক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একই বিষয়ের (যেমন পদার্থবিদ্যা) কারিকুলামগত শিক্ষণ বিষয় কি ভিন্ন? সাধারণত তা ভিন্ন হওয়ার কথা নয় কারণ পদার্থের নিউটনের সূত্রটি এক সব প্রতিষ্ঠানের জন্য। যদি সব বিভক্ত শিক্ষা ধারায় একই বিষয় পড়ানো হয় তাহলে তা কেন একই বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে করা যাবে না?

এখন ভাবার সময় এসেছে, এ পৃথকীকরণ কি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার জন্য, না রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য। এর পরিণতি হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম নৈরাজ্য এবং কওমি মাদ্রাসার ডিগ্রিকে স্বীকৃতি ও হেফাজতের দাবি অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক রচনার কারণে সরকারিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার সাম্প্রদায়িকীকরণ ও মৌলবাদ প্রতিষ্ঠা। দেশের সব শিক্ষা ব্যবস্থাকে একীভূত করা না গেলে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা সম্ভব নয়।

[ লেখক : কলামিস্ট ]

সৌজন্য: দৈনিক সংবাদ

ফল জালিয়াতি: পদে রেখেই সচিবের বিরুদ্ধে তদন্ত - dainik shiksha ফল জালিয়াতি: পদে রেখেই সচিবের বিরুদ্ধে তদন্ত শিক্ষক-কর্মচারী বদলি নীতিমালার কর্মশালা কাল - dainik shiksha শিক্ষক-কর্মচারী বদলি নীতিমালার কর্মশালা কাল দুবাইয়ে বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা - dainik shiksha দুবাইয়ে বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি ৯৬ হাজার ৭৩৬ শিক্ষক নিয়োগ, আবেদন করবেন যেভাবে - dainik shiksha ৯৬ হাজার ৭৩৬ শিক্ষক নিয়োগ, আবেদন করবেন যেভাবে ফিলিস্তিনকে সমর্থনের ‘অভিযোগে’ সেরা ছাত্রীর বক্তৃতা বাতিল - dainik shiksha ফিলিস্তিনকে সমর্থনের ‘অভিযোগে’ সেরা ছাত্রীর বক্তৃতা বাতিল মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003817081451416