কওমি সনদের স্বীকৃতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা - দৈনিকশিক্ষা

কওমি সনদের স্বীকৃতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা

মুহা. রুহুল আমীন |

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদানের ঘোষণার মাধ্যমে দেশের প্রায় ১৪ লাখ কওমি শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর জীবনের অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাতে চেয়েছেন। কওমি মাদরাসার শিক্ষাকাঠামো, বৈশিষ্ট্য ও স্বাতন্ত্র্য কোনোভাবে ক্ষুণ্ন না করে এই অসংখ্য উচ্চশিক্ষিত নাগরিককে বাংলাদেশি শিক্ষিত জনগণের মূলধারার সঙ্গে যুক্ত করার এ এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিদগ্ধ ব্যক্তিরা বিতর্ক করছেন, রাজনীতিও কম হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, প্রথমে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে এবং এরপর সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মূলনীতি ও আইন তৈরি করা হবে। এ ব্যাপারে ওয়ার্কিং টিমে থাকবেন শিক্ষামন্ত্রীসহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষাসচিবরা, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মুখ্য সচিবসহ অন্য কর্মকর্তারা। স্পষ্টত, কওমি মাদরাসার স্বীকৃতির ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কয়েকটি কারণে সরকারের এ পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে এবং আল্লামা শফীর নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে।

একটি বিশাল জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ অকেজো করে না রেখে সমাজের একটি বোঝা হালকা করা প্রয়োজন ছিল অনেক আগেই। সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থ, নির্লোভ ও নির্ভেজাল জীবনদৃষ্টির মূল্যবোধ নিয়ে কওমি শিক্ষার্থীরা বেড়ে ওঠে। ছোট্ট একটি রুমে বা মসজিদের ফ্লোরে কেবল পাটি বা হোগলা বিছিয়ে অতি প্রত্যুষে পাঠদান শুরু হয় এসব প্রতিষ্ঠানে। ওই ফ্লোরটি তাদের শ্রেণিকক্ষ, পাঠকক্ষ, লাইব্রেরি, খাওয়ার ও ঘুমানোর কক্ষ। সম্পূর্ণ সহজ-সরল জীবনাদর্শের উজ্জ্বল দীপ্তি ছড়িয়ে সেই সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ওই ফ্লোরে বসেই তাদের জ্ঞানচর্চার অধ্যবসায় চালু থাকে। জোহর, আসর, মাগরিব ও এশার নামাজের বিরতি, আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত ভ্রমণবিরতি ছাড়া ভোর থেকে ঘুমানো পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্ত জ্ঞানচর্চায় ব্যস্ত থাকে শিক্ষার্থীরা। এ দীর্ঘ সময় পালাক্রমে একজন শিক্ষকের সার্বক্ষণিক নিবিড় তত্ত্বাবধান চলে। প্রতিটি বিষয়ের গভীরে যেতে হয় তাদের, মুখস্থ করতে হয় অসংখ্য জ্ঞানের বিষয়। একজন কোরআনের হিফজ ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীর কথা কল্পনা করুন। আল কোরআনের প্রতিটি বর্ণ, যতিচিহ্ন, লাইনসহ হুবহু মুখস্থ করতে হয় তাকে। সাহিত্য, ইতিহাস, যুক্তিবিদ্যা, ব্যাকরণ, বিশ্লেষণ জ্ঞান, গণিতসহ কোরআন, হাদিস, ফিকহ প্রভৃতি বহুমুখী জ্ঞানের সাগরে ডুব দিতে হয় কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের। এদের যেকোনো একজনকে একটু খোঁচা দিয়ে দেখুন, তার মুখ থেকে জ্ঞানের ফুলঝুরি বেরোবে। অনুসন্ধানী ও বিশ্লেষণের দৃষ্টি দিয়ে বিচার করুন, দেখবেন আমাদের দেশ ও সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি ওই মাদরাসাপড়ুয়াকে দিয়ে করানো যাবে।

কিন্তু আপনি হোঁচট খাবেন তাঁর প্রকাশভঙ্গি দেখে, নিজেকে বিক্রয়যোগ্য করে উপস্থাপন করার কৌশলের অনুপস্থিতি থেকে। একটু মিশে যান, সমাজের ও রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় ও যোগ্য নাগরিকের বৈশিষ্ট্য তার মধ্যে প্রবিষ্ট করান, কিছুটা ট্রেনিং দিন, সমাজে বসবাস ও মেলামেশার দিকটি তুলে ধরুন, দেখবেন ওই বোবা, বোকা মাদরাসার ছাত্রটি রাষ্ট্র ও সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সম্পাদন করতে সক্ষম হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী হয়তো তাঁর মাতৃসূলভ গভীর দরদ দিয়ে জাতির এ অব্যবহৃত স্বর্ণখনির সন্ধান পেয়েছেন। তাঁকে অভিনন্দন।

দ্বিতীয় যে কারণে কওমি শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া প্রয়োজন তা হলো আমাদের বৃহত্তর জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত। সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, শিক্ষিত, যোগ্য, প্রতিভাবান নাগরিকদের সমাজ ও রাষ্ট্রের খেদমতে নিবেদিত হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করলে যে বৈষম্য, অবসাদ ও বিষণ্নতা তাদের ঘিরে ধরে, তা আস্তে আস্তে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যে তাদের নিক্ষিপ্ত করে। আমাদের দেশের নিরাপত্তা ইস্যুতে অবশ্য এখনো পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়, অভিজাত ইংরেজি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মাদরাসাগুলো আলোচনায় এসেছে। সন্ত্রাস এখন বহুমুখী উৎস থেকে সম্প্রসারিত হচ্ছে। মাদরাসার শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের তাদের যোগ্য কর্মে আত্মনিবেদনের সুযোগ দিতে পারলে সন্ত্রাস বিস্তারের একটি রাস্তা অন্তত বন্ধ করা যাবে।

কওমি শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি তৃতীয় যে কারণে প্রয়োজন, তা হলো মানবাধিকারের বৃহত্তর ক্যানভাসে তাদের যুক্ত করা। শিক্ষা যেমন সবার অধিকার, শিক্ষা শেষে চাকরিতে যোগদানও মৌলিক ও অনস্বীকার্য অধিকার। এত দিন এই অধিকার থেকে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে যে জাতীয় অপরাধের ভুল করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সেই ভুলের সাঁকো পাড়ি দিয়ে আমরা সংশোধনের নতুন যুগে প্রবেশ করতে পারব। কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদানের মাধ্যমে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য সাধন করা যাবে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রসরতার ক্ষেত্রে এরই মধ্যে যুগান্তকারী অর্জনের রেকর্ড গড়েছে। বর্তমান সময়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বৈশ্বিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে এবং এর সঙ্গে ইসলাম ও মুসলমানদের একাকার করে উপস্থাপন করার প্রয়াস লক্ষ করা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি এ চেতনাও বিকশিত হচ্ছে যে ইসলাম সম্পর্কে অধ্যয়ন করা দরকার। ইসলামকে বিশ্লেষণ করা দরকার এবং সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্কের প্রকৃতি, পরিধি ও ব্যাপ্তি নির্ধারণ করা দরকার। সে কারণে বিশ্বব্যাপী ইসলাম সম্পর্কে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও গবেষণা করার নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে; ইউরোপ ও আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অসংখ্য রিসার্চ উইং খোলা হয়েছে। আমাদের অসংখ্য কওমি গ্র্যাজুয়েট সেই বৈশ্বিক গবেষণায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের সম্মানকে যেমন উঁচুতে নিয়ে যেতে পারবে তেমনি বাংলাদেশের জন্য প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও সরবরাহ করে আমাদের রেমিট্যান্স খাতে বিপ্লবী পরিবর্তন আনতে পারবে। উদাহরণস্বরূপ, প্রতিবছর আল কোরআনের কিরাত প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি শিশু-কিশোররা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ও সম্মান লাভ করে বাংলাদেশের জন্য উন্নত বৈশ্বিক ইমেজ তৈরি করছে।

ক্রিকেট তারকারা যেমন বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে মাথা উঁচু করার উচ্চতা উপহার দিচ্ছেন তেমনি বৈশ্বিক ইমেজ তৈরির আরেকটি সম্ভাবনা ও অধিকতর সুযোগ রয়েছে ইসলাম সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গবেষণাকর্মে বাংলাদেশের ইসলামী জ্ঞান-তারকাদের অংশগ্রহণের মধ্যে। ক্রিকেট ও ইসলামী গবেষণা—এ দুটি খাত বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনার যমজ খুঁটি হিসেবে বাংলাদেশকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর টিকিয়ে রাখবে, এমন ভাবা যায়, তবে এ ব্যাপারে জাতীয় ঐকমত্য লাগবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন মহল থেকে নানামুখী সমালোচনা উপচে পড়ছে। এ সুযোগে ঘাপটিমারা জাতীয় শত্রুরা হয়তো সুযোগ নিতে চাইবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার কয়েকটি বিনীত অনুরোধ রাখছি। কালান্তরে আমার এ অনুরোধগুলো কওমি শিক্ষার আধুনিকায়নে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

শুধু উচ্চতর ক্লাস বা দাওরাকে মাস্টার্সের সনদে ভূষিত করলে চলবে না, এ ক্ষেত্রে কওমি মাদরাসার সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করে মূলধারার জাতীয় শিক্ষাকাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করার পর মাদরাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করা এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় কওমি শিক্ষার যোগ্যতার প্রস্ফুরণ ঘটাতে হবে। ইসলামী পণ্ডিত, মাদরাসা শিক্ষিত ব্যক্তি, শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োজিত ব্যক্তি এবং সুধীসমাজের ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি কওমি শিক্ষাব্যবস্থা নামের জাতীয় মেগা প্রজেক্ট হাতে নিতে হবে। সৌদি আরব, মিসর, ইরান, ইউরোপ ও আমেরিকার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিলেবাস ও কারিকুলামের সঙ্গে দেওবন্দের সিলেবাস ও কারিকুলামের সমন্বয় ঘটিয়ে ওই মেগা প্রজেক্টের আওতায় কওমি শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার সাধন করতে হবে। কওমি ব্যবস্থায় বিফাকসহ চার-পাঁচটি বোর্ড রয়েছে। এ বোর্ডগুলো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের অর্থাৎ শরহে জামি, মিশকাত বা কাফিয়া ক্লাস পর্যন্ত সনদ দিতে পারবে। এই ক্লাসগুলোকেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত করার উপযুক্ত নামকরণ করতে হবে।

স্নাতক, মাস্টার্স, পিএইচডি প্রভৃতি ডিগ্রির জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কওমি মাদরাসার এফিলিয়েশন প্রয়োজন। তা ছাড়া দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেমন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতির ইসলামী শিক্ষা বিভাগের আওতায় ও ভৌগোলিক বণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে কওমি মাদরাসাগুলোয় উচ্চতর ডিগ্রি দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়। সঙ্গে সঙ্গে প্রাইভেট সেক্টরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনাও নেওয়া যায়।

দ্বিতীয়ত, কওমি শিক্ষার আধুনিকায়নে সরকারকে নির্মোহ, স্বচ্ছ ও সাবলীল নীতি গ্রহণ করতে হবে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে বেশ রাজনীতি হচ্ছে। যেমন কিছু ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দল মন্তব্য করেছে যে কওমির স্বীকৃতি দেওয়া মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে যাওয়া। এ বিষয়ে প্রতিবাদ সমাবেশেরও আয়োজন চলছে। এ ধরনের মন্তব্য উসকানিমূলক এবং প্রধানমন্ত্রীর সঠিক কাজের বিপরীতে সরব প্রতিক্রিয়া মাত্র। ১৪ লাখ তরুণ শিক্ষার্থীকে ‘জাতীয় বোঝা’ হয়ে বেঁচে থাকার করুণ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর এ কওমি শিক্ষানীতিকে অধিকতর পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা করে টেকসই, প্রাগ্রসর ও গতিশীল কওমি শিক্ষানীতি প্রতিষ্ঠায় স্বর্ণালি অধ্যায় রচনা করা উচিত। বিভিন্ন শিক্ষাবিজ্ঞানী এরই মধ্যে সিলেবাস সমন্বয়, যোগ্য শিক্ষক, যোগ্য শিক্ষাদান পদ্ধতি প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। কওমি শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উলামায়ে কেরাম ও সরকারকে ওই সমালোচনাগুলো অনুধাবন করে কওমি শিক্ষানীতিকে শাণিত করতে হবে এবং একে গ্রহণযোগ্য করতে প্যারাডাইস শিফট অনুসরণ করতে হবে। এরই মধ্যে বিএনপি নেত্রী জানিয়েছেন, তিনিও কওমি শিক্ষা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ক্ষমতার বাইরের ব্যাপকসংখ্যক জনগণের সমর্থনে পরিচালিত বিএনপি—দুই দলের দুই নেত্রী আজ কওমি শিক্ষার সংস্কারে এক ও একতার বিন্দুতে মিলিত হয়েছেন। এ মুহূর্তে আমাদের জাতীয় উন্নয়নের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক রচিত হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। দুই নেত্রীর চিন্তা ও কর্মের মিলিত ফসল হিসেবে কওমি শিক্ষার সংস্কার সাধন আমাদের জাতীয় উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডায় পরিণত হয়েছে। কোনোভাবে যেন দুটি বৃহৎ দলের রাজনীতির কাদা ছোড়াছুড়িতে এজাতীয় এজেন্ডা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, আপসহীন প্রধানমন্ত্রীকে সে বিষয়ে তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ধরে রাখতে হবে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলিয়া মাদরাসার সংস্কার করেছিলেন, যার ফলে আলিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এখন জাতীয় জীবনের সর্বত্র জাজ্বল্যমান অবদান রাখছে। অনতিবিলম্বে কওমি গ্র্যাজুয়েটরাও বৃহত্তর জাতীয় উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হোক—এ ইতিহাস রচনার সময় এখন এবং এখনই। কওমি শিক্ষার সঙ্গে জড়িত উলামায়ে কেরামকে প্রাগ্রসর চিন্তার মুক্ততা অনুধাবন করতে হবে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত, মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস বিষয়ে তাদের সিলেবাস পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে এবং একবিংশ শতাব্দীর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিতে স্বীয় যোগ্যতা অর্জনে কওমি শিক্ষা সংস্কারের মেগা প্রজেক্টকে মেনে নেওয়ার ফ্লেগজিবিটি ধারণ করতে হবে।

লেখক : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038449764251709