কমেছে পাসের হার - দৈনিকশিক্ষা

কমেছে পাসের হার

রাকিব উদ্দিন |

পাস ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ
কমেছে ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ

৫৯ প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি

অষ্টম শ্রেণীর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে। বেড়েছে শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। কমেছে শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। সবমিলিয়ে ফলাফলের গুরুত্বপূর্ণ সবকটি সূচকেরই অবনতি ঘটেছে।

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় এবার পাস করেছে ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং ১ লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। গত বছর এই পরীক্ষায় পাস করেছিল ৯৩ দশমিক ০৬ শতাংশ শিক্ষার্থী।

এক বছরে এই দুই পরীক্ষায় পাসের হার ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ কমেছে। আর ২০১৬ সালে জেএসসি-জেডিসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮৮ জন। অর্থাৎ এবার জিপিএ-৫ কমেছে ৫৫ হাজার ৯৬০ জন।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল দুপুরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এবারের ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে দেন। পরে বেলা ২টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। এরপরই সারাদেশের শিক্ষার্থী নিজ নিজ কেন্দ্র ও স্কুল থেকে ফল জানতে পায়।

এবার আট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসিতে পাসের হার ৮৩ দশমিক ১০ শতাংশ এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে গড় পাসের হার ৮৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।

গত বছর এই দুই পরীক্ষায় সম্মিলিতভাবে পাস করেছিল ৯৩ দশমিক ০৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জেএসসিতে ৯২ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং জেডিসিতে ৯৪ দশমিক ০২ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়।

জেএসসি ও জেডিসিতে এবার মোট ১ লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে জেএসসিতে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৭ জন এবং জেডিসিতে সাত হাজার ২৩১ জন জিপিএ-৫ অর্থাৎ পূর্ণ জিপিএ পেয়েছে।

আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসি ও মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসি পরীক্ষায় এবার অংশ নিয়েছিল ২৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ২৭১ জন। আর গত বছর এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫৯ জন, যার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিল ২১ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭৫ জন। এ হিসেবে এবার ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭০৪ জন কম উত্তীর্ণ হয়েছে।

জেএসসি ও জেডিসির বেশিরভাগ পরীক্ষার প্রশ্নই এবার পরীক্ষার আগে ফেসবুসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ ওঠে।

এ বিষয়ে সৃষ্টি আকর্ষণ করলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১৯৬১ সাল থেকে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। আগে বিজি প্রেস থেকে পরীক্ষার ২ মাস আগে প্রশ্ন ফাঁস হতো। এখন পরীক্ষার দিন সকালে ফাঁস হয়। কিছু শিক্ষক প্রশ্ন ফাঁস করছেন। আমরা চেষ্টায় আছি এটাও পুরোপুরি বন্ধ করার।’

সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পরপরই সারাদেশের শিক্ষার্থী নিজ নিজ স্কুল ও কেন্দ্র থেকে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পায়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন, আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।

যে কোন মোবাইল ফোন থেকে JSC/JDC লিখে স্পেস দিয়ে নিজ বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখতে এসএমএস করলে ফিরতি এসএমএসে জেএসসি/জেডিসির ফল জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এছাড়া শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (http:/ww/w.educationboardresults.gov.bd) এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও জেএসসি ও জেডিসির ফল জানা যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ই- মেইলেও জেএসসি ও জেডিসির ফলাফলের সফটকপি পাঠাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড। প্রয়োজনে এদের কাছ থেকেও ফলাফলের কপি সংগ্রহ করা যাবে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে।

ফল বিপর্যয়ের কারণ ও সরকারের মূল্যায়ন

ফল কেন খারাপ হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোন কিছু গোপন করিনি। যা ফল হয়েছে, তাই প্রকাশ করেছি। সার্বিক মূল্যায়নের জন্য সময় দরকার।’

ফল মূল্যায়নে সবকটি শিক্ষা বোর্ডকে দায়িত্ব দিয়ে পরিপূর্ণ একটি মূল্যায়ন করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা সবাই মিলে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একটা সময় ছিল পরীক্ষায় ৫০ শতাংশও পাস করত না। কিন্তু এখন পাসের হার অনেক বাড়াতে আমরা সক্ষম হয়েছি। তবে এবার পাসের হার কমেছে। এটা লুকানোর কিছু নেই। তবে কেন কমলো তা এখনি বলা যাবে না। আমরা স্টাডি করব। তারপর বলতে পারব।’

কুমিল্লা বোর্ডে এবারও পাসের হার কেন কম-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার খাতা খুব সচেতনভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে বলেই ফলের হার কমছে বলে মনে করি। তবে আরও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’

নুরুল ইসলাম নাহিদ আরও বলেন, ‘স্কুলে যেন সব শিশুকে আনা যায় সেটাই প্রথম দিকে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এখন চ্যালেঞ্জ সব শিক্ষার্থী যেন পাস করতে পারে। আমরা অনেক কষ্ট করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে এনেছি। উপবৃত্তি দিচ্ছি, বিনামূল্যে বই দিচ্ছি। স্কুলের অবকাঠামো থেকে সব কিছু সুন্দর করা হয়েছে। টেকনিক্যাল শিক্ষার অগ্রগতি হয়েছে। আমরা প্রযুক্তির কল্যাণকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাইছি যেন তারা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। শিক্ষকদের জন্যেও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’

সারা দেশে স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার মান ঠিক রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তদারকি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের স্কুলগুলোর দিকে একটু নজর দেয়া দরকার। সেখানে সঠিকভাবে পড়াশোনা হচ্ছে কিনা; এই বিষয়টার দিকে একটু বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। এটা খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি।’

পাসের হার কমে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর যেহেতু আপনাদের নজরদারি বেড়েছে; সে কারণে হয়তো একটু কম। আশা করি ভবিষ্যতে যেন বাড়ে। আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করছে, আমরা সব রকম সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি। সেখানে, তারা ফেল করবে কেন? তাদের মেধা আছে।’

ফল বিপর্যয়ের কারণ সম্পর্কে একটি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে  বলেন, ‘বিগত সময়ে পাসের হার বাড়ানোর জন্য ওপর থেকে একটি অলিখিত নির্দেশনা থাকত। এবার কোন নির্দেশনা ছিল না। খাতার যথাযথ মূল্যায়ন করেই নম্বর দিয়েছেন পরীক্ষকরা। এজন্য ফল একটু খারাপ হয়েছে।’

তবে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর একেএম সায়েফ উল্লাহ  বলেন, ‘মাদ্রাসায় ইংরেজি ও আরবি বিষয়ে এবার খারাপ ফল হয়েছে। এজন্য গড় পাসের হার কমেছে।’

শতভাগ পাস ও শূন্য পাস প্রতিষ্ঠান

এবার সারাদেশের ৫ হাজার ২৭৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৪৫০টি। এ হিসেবে এবার শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠান চার হাজার ১৭১টি কমেছে।

অন্যদিকে এবার ৫৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করেনি। গত বছর এই ধরনের প্রতিষ্ঠান ছিল ২৮টি। অর্থাৎ এ বছর শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠান ৩১টি বেড়েছে।

যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করেনি তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কী না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শতভাগ ফেল বিদ্যালয়ের সংখ্যাও বেড়েছে। যেসব বিদ্যালয়ে কেউ পাস করে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেখানে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেহেতু কেউ পাস করে না সেহেতু তারা কিছুই পড়ায় না। তাদের পেছনে খরচ করে তো লাভ নেই। শুধু শুধু সরকারের টাকা নষ্ট।’

বোর্ডভিত্তিক ফল

আট বোর্ডে এবার বরিশালে পাসের হার সবচেয়ে বেশি। তবে সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা।

এবার বরিশাল বোর্ডে গড় পাসের সর্বোচ্চ ৯৬ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং কুমিল্লা বোর্ডে সবচেয়ে কম-৬২ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। জেএসসিতে ঢাকা বোর্ড থেকে এবার সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৭৬ হাজার ৮৪৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

ঢাকা বোর্ড

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৬ লাখ ৮২ হাজার ৯৫৯ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭২২ জন। গড় পাসের হার ৮১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, গত বছর যা ছিল ৯১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এ বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৬ হাজার ৮৪৮ জন, গত বছর যা পেয়েছিল ৮৬ হাজার ৩৫০ জন।

রাজশাহী বোর্ড

রাজশাহী বোর্ড থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৩৭ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৫৩০ জন। গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, গত বছর যা ছিল ৯৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ বোর্ড থেকে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৬৩৩ জন, গত বছর যা ছিল ৪০ হাজার ৪৭১ জন।

কুমিল্লা বোর্ড

কুমিল্লা বোর্ডে এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪৫৬ জন। গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৮৩ শতাংশ, গত বছর যা ছিল ৮৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এই বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৮৭৫ জন, গত বছর যা ছিল ১৯ হাজার ১৮৬ জন।

যশোর বোর্ড

যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৯ হাজার ৫১৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৭৬ জন। এ বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৯৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। যশোর বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ৬১২ জন, গত বছর যা ছিল ২২ হাজার তিনজন।

চট্টগ্রাম বোর্ড

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৮ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮১৪ জন। গড় পাসের হার ৮১ দশমিক ১৭ শতাংশ, গত বছর যা ছিল ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৩১৫ জন, গত বছর যা পেয়েছিল ১৪ হাজার ১৩৫ জন।

বরিশাল বোর্ড

বরিশাল শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩৫ জন শিক্ষার্থী। বরিশালে এবার গড় পাসের হার ৯৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৯৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে আট হাজার ৪৩১ জন, ২০১৬ সালে যা পেয়েছিল ১৫ হাজার ৫৭০ জন।

সিলেট বোর্ড

সিলেট শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ২০২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৮২ জন। এবার গড় পাসের হার ৮৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, গত বছর যা ছিল ৯৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। সিলেটে এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭ হাজার ৬২১ জন, গত বছর যা পেয়েছিল ১০ হাজার ২৫৫ জন।

দিনাজপুর বোর্ড

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৮ জন ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২ লাখ ১ হাজার ৮০৯ জন শিক্ষার্থী। গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ, গত বছর যা ছিল ৯২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। দিনাজপুরে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৬২ জন, গত বছর যা ছিল ২৭ হাজার ৮৯ জন।

মাদ্রাসা বোর্ড

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬৯ জন ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে পাস করেছে ৩ লাখ ১১ হাজার ২৪৭ জন। গড় পাসের হার ৮৬ দশমিক ৮০ শতাংশ, গত বছর যা ছিল ৯৪ দশমিক ০২ শতাংশ। মাদ্রাসায় এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ২৩১ জন, গত বছর যা ছিল ১২ হাজার ৫২৯ জন।

বিদেশি কেন্দ্র

বিদেশের ৯টি কেন্দ্র ও প্রতিষ্ঠান থেকে এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৫৯৯ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৫৬২ জন। গড় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৩ জন, গত বছর যা ছিল ৮৪ জন।

প্রাথমিক সমাপনী

পাস ৯৫ দশমিক ১৮%
কমেছে প্রায় ৪ শতাংশ

কমেছে জিপিএ-৫

পঞ্চম শ্রেণীর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এবার পাসের হার কমেছে প্রায় চার শতাংশ। কমেছে সর্বোচ্চ স্কোর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। এরপরও সাফল্য অর্জন করেছে দেশের সর্ববৃহৎ পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেয়া ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে এবার পাস করেছে ৯৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, গত বছর ছিল ৯৮ দশমিক ৫১। এই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ (গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ) পেয়েছে দুই লাখ ৬২ হাজার ৬০৯ জন, গত বছর তা পেয়েছিল দুই লাখ ৮১ হাজার ৮৯৮ জন।

প্রাথমিক সমাপনীর সাত বিভাগের মধ্যে ৯৬ দশমিক ২২ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে বরিশাল এবং ৬৪ জেলার মধ্যে ৯৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে রয়েছে গোপালগঞ্জ। আর ৫০৮ উপজেলা/থানার মধ্যে ৩টিতে শতভাগ শিশু পাস করেছে।

পঞ্চম শ্রেণী সমমানের মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীতে পাস করেছে ৯২ দশমিক ৯৪ ভাগ। গত বছর এই হার ছিল ৯৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ইবতেদায়ীতে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার ২৩ জন, যা গত বছর ছিল পাঁচ হাজার ৯৪৮ জন। ইবতেদায়ীতে সর্বোচ্চ পাসের হারে সাত বিভাগের মধ্যে শীর্ষে আছে রাজশাহী বিভাগ। এ বিভাগের পাসের হার ৯৬ দশমিক ২৮ ভাগ। পঞ্চগড় জেলার পাসের হার সর্বোচ্চ, যা ৯৯ দশমিক ০২ শতাংশ। ইবতেদায়ীতে ৬১টি উপজেলায় শতভাগ ছাত্রছাত্রী পাস করেছে। গতকাল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সারাদেশের ফল প্রকাশ করেন। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আসিফ উজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

যে কোন মোবাইল ফোন থেকে উচঊ লিখে স্পেস দিয়ে থানা/উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে ফিরতি এসএমএসে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফল জানা যাবে। ইবতেদায়ীর ফল পেতে ঊইঞ লিখে স্পেস দিয়ে থানা/উপজেলার কোড নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে সরকারি অথবা রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঊগওঝ কোড নম্বরের প্রথম পাঁচ সংখ্যা উপজেলা/থানা কোড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে; যা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জানা যাবে।

এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট

(www.dpe.gov.bd) এবং টেলিটকের ওয়েবসাইট (http://dpe.teletalk.com.bd) থেকে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনীর ফল জানা যাচ্ছে।

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এবার অংশ নিয়েছিল মোট ২৯ লাখ ৫০ হাজার ৬১৫ জন ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে পাস করেছে ২৮ লাখ দুই হাজার ৭১৫ জন।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে টানা পঞ্চম বারের মতো সবচেয়ে ভালো ফল করেছে বরিশাল বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গত বছরের মতো এবারও সবচেয়ে কম পাস করেছে সিলেট বিভাগে ৯১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। জেলার মধ্যে সবচেয়ে কম ঝালকাঠিতে ৮৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে কম পাস করেছে যশোরের কেশবপুরে। কেশবপুরে পাসের হার ৭১ দশমিক ২০ শতাংশ।

স্কুলের ধরন অনুসারে ফল

বিদ্যালয়ের ধরন অনুযায়ী সর্বোচ্চ পাসের হার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। অন্যান্য বিদ্যালয়ে পাসের হার যথাক্রমে পিটিআইসংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে ৯৯ দশমিক ২৪, ব্র্যাক পরিচালিত বিদ্যালয়ে ৯৮ দশমিক ৩২, উচ্চ বিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৮ দশমিক ১০ শতাংশ, কিন্ডারগার্টেনে ৯৮ দশমিক ০৬ শতাংশ, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ শিশু পাস করেছে।

এছাড়া ১৫০০ বিদ্যালয় নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত (নতুন) বিদ্যালয়ে ৯৪ দশমিক ৫১, নতুন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯২ দশমিক ৪১, ননরেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯০ দশমিক ৮৪ শতাংশ, অস্থায়ী/অনুমতিপ্রাপ্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ শিশু শিক্ষার্থী পাস করেছে।

আর শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ, এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়ে ৮৬ দশমিক ৫২, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮৬ দশমিক ৪৫ এবং এবং আনন্দ স্কুলে ৭৭ দশমিক ৮০ শতাংশ শিশু উত্তীর্ণ হয়েছে।

বিষয়ভিত্তিক ফল

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, বাংলায় পাস করেছে ৯৮ দশমিক ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী, ইংরেজিতে ৯৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, গণিতে ৯৮ দশমিক ২১ শতাংশ, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ে ৯৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, প্রাথমিক বিজ্ঞানে ৯৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে পাস করেছে ৯৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

গ্রেড ভিত্তিক ফল

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ীতে মোট পরীক্ষার্থীর ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৬২ হাজার ৬০৯ জন, জিপিএ ৪ থেকে ৫-এর নিচে ছয় লাখ ৯৭ হাজার ১৯৬ জন, জিপিএ ৩ দশমিক ৫ থেকে ৪-এর নিচে প্রাপ্ত চার লাখ পাঁচ হাজার ৩৩৯ জন, জিপিএ ৩ থেকে ৩ দশমিক ৫-এর নিচে চার লাখ ৯ হাজার ৭৫০ জন, জিপিএ ২ থেকে ৩ এর নিচে ছয় লাখ পাঁচ হাজার ৯১৮ জন এবং জিপিএ ১ থেকে ২-এর নিচে এক লাখ ৮৫ হাজার ৪৫৯ জন।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের ফল

সারাদেশে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন চার হাজার ২৬৬ জন ছাত্রছাত্রী এবার পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছি। তার মধ্যে তিন হাজার ৯৮৪ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। যাদের আবার ছাত্র দুই হাজার ১৫৭ জন এবং ছাত্রী এক হাজার ৮২৭ জন। মোট পাস করেছে তিন হাজার ৫৫৩ জন; পাসের হার ৮৯ দশমিক ১৮ শতাংশ।

ইবতেদায়ী সমাপনীর ফলের নানা দিক

ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মোট দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৯৯ ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করেছে দুই লাখ ৩৬ হাজার ৪৪৪ জন। পাসের হার ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। উত্তীর্ণদের মধ্যে এক লাখ ১৯ হাজার ৯৪৪ জন ছাত্র এবং এক লাখ ১৬ হাজার ৫০০ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার ২৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র দুই হাজার ৬০৭ জন এবং ছাত্রী দুই হাজার ৪১৬ জন।

ফল নিয়ে মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের অভিমত

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল এবার খারাপ ফল ও আগের বছরের চেয়ে এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমার কারণ কি? এমন প্রশ্নে মন্ত্রী সুনির্দিষ্ট কোন কারণ বলতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, ‘এজন্য গবেষণা দরকার। গবেষণা করে দেখতে হবে।’

গত বছরও তথ্যের জন্য গবেষণার কথা বলা হয়েছিল; কিন্তু ওই গবেষণার তথ্য প্রকাশ করা হয়নি? কর্মকর্তাদের কাছে এমন প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘দেখেন, হঠাৎ ফসলে পোকামাকরের আক্রমণ হলে কেউ যদি এক বাক্যে জানতে চায় কেন, তাহলে আমার পক্ষে বলা কঠিন।’

এরপর মন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকরা নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে ফল ফাঁস হয়ে যাওয়ার তথ্য তুলে ধরেন। এক সাংবাদিক প্রমাণ তুলে ধরে বলেন, ‘আমার কাছে ফাঁস হওয়া ফলাফলের স্ক্রিন শর্টও আছে। এ প্রশ্ন কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দেখেন প্রথম দ্বিতীয় শ্রেণীর পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস, নকল হয় এমন তথ্যও তো প্রচার হয়। আর স্ক্রিনশর্টতো আপনি বানাতেও পারেন।’

 

সৌজন্যে: সংবাদ

এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039398670196533