মেডিকেল কলেজ, কারিগরি শিক্ষার আধুনিকায়নসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশকে দুই’শ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দিবে ভারত। আজ বুধবার দ্ইু দেশের ঋণরেখা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের আগারগাঁওস্থ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি সই হয়।
ভারতের হাই কমিশনার বলেন, চুক্তির আওতায় অবকাঠামোগত প্রকল্প ছাড়াও মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন, শিক্ষাখাতে দুটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের আধুনিকায়ন এবং ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আধুনিকায়নসহ সামাজিক খাতে সহায়তা দেবে ভারত। এতে দুই দেশের অর্থনীতি অরো সংহত হবে এবং এসব ক্ষেত্রে আমাদের ফলিত সহযোগিতা আরো জোরদার হবে। ভারত সরকার ঋণরেখার অধীন প্রকল্প প্রস্তাবসমূহের দ্রুত অনুমোদন দিতে বদ্ধপরিকর।
এছাড়াও ঋণরেখার অধীনে বিদ্যুৎ, রেলপথ, সড়ক, পরিবহন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, জাহাজ চলাচলসহ বিভিন্ন সামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। দুই দশকে পরিশোধযোগ্য (আপৎকালীন সংরক্ষণ অধিকারসহ) এই ঋণের জন্য বছরে সুদ দিতে হবে মাত্র এক শতাংশ হারে।
এর আগে ভারত ২০১০সালে বাংলাদেশকে একশো কোটি ডলারের ঋণ দিয়েছে। ওই ঋণের ২০ কোটি ডলার পরবর্তীকালে মঞ্জুরি সহায়তা হিসেবে রূপান্তরিত হয় এবং একটি সংশোধনী চুক্তির মাধ্যমে ৮০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ২০১৫ সালে ৮৬ কোটি ২০ লাখ ডলারে উন্নীত হয়। প্রথম ঋণের ১৫টি প্রকল্পের সবগুলিই ভারতের এক্সিম বাংকের অর্থনৈতিক সহায়তায় পাওয়া গিয়েছিল। মোট ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে ৭টি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, বাকিগুলি বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।