নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় এক কলেজছাত্রীসহ তিন শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের দুইজন কলেজ শিক্ষার্থী ও একজন মাদরাসার শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে নিখোঁজের অভিভাবকরা কেন্দুয়া থানায় পৃথক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
কেন্দুয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের চরখিদিপুর গ্রামের আব্দুর রউফের কলেজ পড়ুয়া ছেলে জাহাঙ্গীর আলম পাঁচ বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি ২০১০ সালে সান্দিকোনা স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় নিখোঁজ হয়েছিলেন বলে তার বাবা জিডিতে উল্লেখ করেন। আব্দুর রউফ গত ১০ জুলাই তার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে কেন্দুয়া থানায় জিডি করেন।
এদিকে গড়াডোবা ইউনিয়নের গাড়াদিয়াকান্দা গ্রামের নূরুল আনোয়ারের ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র এহতেশামুল হক সাগর (১৬) প্রায় ছয় মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে। সে স্থানীয় ভরাপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল জানতে গিয়ে আর বাড়িতে ফিরেনি সাগর। সে পরীক্ষায় আরবি দ্বিতীয় পত্র ও ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। নূরুল আনোয়ার ২৭ জুলাই তার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে কেন্দুয়া থানায় জিডি করেন। কবিরাজের পিছনে দৌঁড়ঝাপ করে সাগর ব্যর্থ হয় বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
অপরদিকে গত ২০ জুলাই কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজের স্নাতক শ্রেণির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাসিমা আক্তার (১৯) কলেজে গিয়ে নিখোঁজ হয়। সে উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের বানিয়াগাতি গ্রামের আবুল কাশেমের কন্যা। নিখোঁজ নাসিমার বড় ভাই রহিছ উদ্দিন গত ২২ জুলাই বোন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে কেন্দুয়া থানায় জিডি করেন। কেন্দুয়া থানার ওসি অভিরঞ্জন দেব বলেন, আমরা নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে অনুসন্ধান চালাচ্ছি।