কলেজ ট্রান্সফার অনলাইনে - দৈনিকশিক্ষা

কলেজ ট্রান্সফার অনলাইনে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে এবার অনলাইন (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) টিসি চালু করেছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। এই প্রক্রিয়া চালুর দুইদিনে সাড়ে তিন শ’ আবেদন স্বয়ংক্রিয় নিষ্পত্তি করেছে শিক্ষাবোর্ড। এরফলে শিক্ষার্থীকে কোনো কলেজে গিয়ে আবেদন সংগ্রহ, জমা কিংবা তদবির করতে হবে না। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দিয়ে এ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ভর্তি বাতিলসহ বোর্ডের অন্যান্য সেবাও অনলাইনের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জাানিয়েছে বোর্ড কর্মকর্তারা।
বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, টিসি নিয়ে নানা ঝক্কি-ঝামেলা, আর্থিক লেনদেন পর্যন্ত হয়। আসন থাকার পরও শিক্ষার্থীদের পছন্দের কলেজে ভর্তি করানো হয় না। এ ধরনের অভিযোগ আমরা প্রতিনিয়ত পাই। এরপর টিসি প্রক্রিয়াকে কেন্দ্রীয়ভাবে করার উদ্যোগ নেয়া হয়। যাচাই বাছাই করে গত ২৪শে সেপ্টেম্বর কলেজ পরিবর্তনে টিসি দেয়া ও নেয়ার সকল কার্যক্রম অনলাইনে করার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা অনলাইনে টিসি নিতে পারবে। সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী ছাড়া পরবর্তীতে সকল ব্যাচের জন্য এটি বলবৎ থাকবে।
জানা গেছে, অনলাইনে টিসি আবেদনের জন্য ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট (http://dhakaeducationboard.gov.bd/) এ যেয়ে ব-ঞঈ বাটনে ক্লিক করে টিসি আবেদন ফরম পূরণ করে (Submit your Application) বাটনে ক্লিক করবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষার্থীর অধ্যয়নরত এবং টিসির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত উভয় কলেজে পঠিত বিষয়সমূহ একই হতে হবে। আবেদন সাবমিট হওয়ার পর শিক্ষার্থী প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে একটি গোপনীয় (Security code) সহ এসএমএস পাবে এবং নিরাপত্তা কোড দিয়ে শিক্ষার্থী পরবর্তীতে তার আবেদনে প্রবেশ করতে পারবে। আবেদন সাবমিট করার পর যে সোনালী সেবা স্লিপ পাবে সেটি প্রিন্ট নিয়ে এবং সোনালী ব্যাংকের যেকোনো অনলাইন শাখা থেকে সোনালী সেবায় স্লিপের মাধ্যমে টিসি ফি ৬০০ টাকা জমা দেবে। শিক্ষার্থী সঠিক ভাবে আবেদন সাবমিট করলে অধ্যয়নরত কলেজে অর্থাৎ প্রথম কলেজ একটি এসএমএস পাবে। তখন কলেজ বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে ওই এসএমএস-এর মাধ্যমে লগিন করে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট অপশনে ক্লিক করলে টিসি আবেদন দেখতে পারবে। অতঃপর উক্ত প্রতিষ্ঠান আবেদনটি ফরওয়ার্ড অথবা রিজেক্ট করবে। প্রয়োজনে একজন শিক্ষার্থী তার আবেদন কোথায় কোন অবস্থায় আছে তা জানার জন্য ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে ব-ঞঈ বাটনে ক্লিক করে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট স্ট্যাটাসে গিয়ে তার আবেদনের অবস্থান জানতে পারবে। ফি’র রসিদ বোর্ডে জমা না দিয়ে নিজের কাছে সংরক্ষণ করবে। শিক্ষার্থীর ফি জমা দেয়ার পর বোর্ড তা বিবেচনা করবে। তার আবেদন গ্রহণ হলে শিক্ষার্র্থীকে এসএমএসের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। তখন সে বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে এটি প্রিন্ট করে পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারবে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সব সেবা অনলাইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ।
এব্যাপারে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাহাবুবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই এই অনলাইন টিসির ব্যবস্থা করেছি। এতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। দুইদিনে বোর্ড সাড়ে তিন শ’ আবেদন অনলাইনে নিষ্পত্তি করেছে। ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে আনার পর ভর্তি প্রক্রিয়ায় যে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে, বোর্ডের অন্যান্য সেবাও অনলাইনে এনে সেই শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে। এতে শিক্ষার্থী ও সেবা গ্রহীতা আরো স্বাচ্ছন্দ্যে সেবা পাবে।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030770301818848