শিক্ষা খাতে প্রতি বছর বিনিয়োগ বাড়লেও শিক্ষার গুণগত মান সে হারে বাড়ছে না। সরকারি ও বেসরকারি কোনো কোনো কলেজের সার্বিক ব্যবস্থাপনা খুবই দুর্বল। কলেজগুলোতে শিক্ষক সংকট রয়েছে। তারপরও অনেক শিক্ষক আছেন যাঁরা ‘অফ ডে’ অজুহাতে কলেজে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। বিশেষ করে উপজেলা ও মফস্বল এলাকার কলেজগুলোতে এ প্রবণতা বেশি। কোনো বিষয়ের একজন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও তিন সপ্তাহে তিনদিন এবং একাধিক শিক্ষক কর্মরত থাকলে পালাক্রমে দুইদিন বা তিনদিন উপস্থিত থাকেন।
বর্তমানে কলেজগুলোতে শিক্ষকদের ‘অফ ডে’ স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। এসব দেখার দায়িত্ব শিক্ষা প্রশাসনের কারোরই নয়। কেবল অধ্যক্ষ মহোদয়ই যথেষ্ট। অপ্রিয় সত্য, এমন অনেক অধ্যক্ষ আছেন যিনি নিজেই কলেজে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। কলেজে শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ১২ এপ্রিল ২০১১ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল, তারও সুফল পাওয়া যায়নি। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কমে যাওয়া উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকার চেয়ে প্রাইভেট বা কোচিং ক্লাসের প্রতি বেশি আগ্রহী। অভিভাবকদের মধ্যেও এ ধরনের প্রবণতা রয়েছে।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার দুর্বলতা কারণেই শিক্ষার্থীরা কোচিংনির্ভর হচ্ছে। ক্লাসে পাঠদানের প্রতি একজন শিক্ষককে হতে হবে আন্তরিক ও নিবেদিত। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে ক্লাসে, প্রাইভেট বা কোচিং সেন্টারে নয়। অন্যথায় আগামীতে পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয় ঘটবে। বিষয়টি প্রতি শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
কুমিল্লা