গাজীপুরের কালীগঞ্জে দেড় বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধীক শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত উপবৃত্তির টাকা বন্ধ রয়েছে বলে শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে তাদের কাছে এ অভিযোগ পাওয়া যায়।
জানা যায়, প্রতি মাসে বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী কালীগঞ্জে মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বাবদ ১১১৩ জন ছাত্র ও ৪১১৪ জন ছাত্রীসহ মোট ৫ হাজার ১২৭ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন হারে প্রায় সাড়ে ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হতো যা গত ২০১৪ সালের জুলাই মাস থেকে দেড় বছর যাবৎ বন্ধ রয়েছে।সূত্র থেকে জানা যায়, উপবৃত্তির ওই টাকা দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় উপকরণ ক্রয় করে তাদের চাহিদা মেটাতো। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী তাদের উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ায় শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত উপবৃত্তির টাকা প্রদান করে আসছে। কিন্তু গত দেড় বছর আমাদের ছেলে-মেয়েরা উপবৃত্তির কোনো টাকা পাচ্ছে না।
তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির টাকা দিলেও প্রকৃত পক্ষে তারা নিজেরা টাকা না পাওয়ায় সরকারের মহান এ উদ্যোগটি ভেস্তে যাচ্ছে। তাই সঠিক ভাবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে টাকা পৌঁছানোর জন্য বর্তমান সরকার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা করছেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. রফিক উদ্দিন আহমেদ জানান, সরকার প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডাচ-বাংলা ব্যাংকে হিসাব খুলতে একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে। ঐ প্রতিষ্ঠান কাজটি সাব-কন্ট্রাকে অন্য প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ায় বিলম্ব হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ডাচ-বাংলা ব্যাংক জেলা ব্যবস্থাপক সাজেদুল হক বলেন, আমাদের কাজ চলছে। কবে নাগাদ শেষ হবে তা বলতে পারছি না।