অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ঢালাওভাবে নয়, চলতিবছর কিছু সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে শর্তসাপেক্ষে এমপিওভুক্ত করা হবে। তবে জাতীয়করণের বিষয়ে বর্তমানে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সঙ্গে ইরা ইনফোটেক লিমিটেডের একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এমনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলোর এক রুমে ৫ ক্লাসের শিক্ষা কার্যক্রম চলে। এসব স্কুলকে এমপিও দেয়া হবে না। মানসম্মত স্কুলকেই এমপিও দেয়া হবে।চলতি বছর কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে। তবে ঢালাওভাবে হবে না।
তিনি আরও বলেন, মাদরাসার শিক্ষকরা জাতীয়করণের জন্য অনশন করছেন এ মুহূর্তে তাদের জন্য সরকারের কিছু করার নেই।
এমপিওভুক্ত করা হলে কোষাগার থেকে টাকা পান বেসরকারি শিক্ষকরা। এমপিওভুক্ত হলে সমমানের সরকারি শিক্ষকদের স্কেলের মূল বেতনের শতভাগ পান বেসরকারি শিক্ষকেরা। বর্তমানে সাতাশ হাজারের কিছু বেশি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত। প্রায় ছয় হাজার প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে অনশন করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। সরকারের আশ্বাসে তারা অনশন ভেঙ্গেছেন সম্প্রতি।
অপরদিকে, বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির ব্যানারে গত ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে আসছেন ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা। পরে ৯ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
আজ রোববার (১৪ই জানুয়ারি) ৬ষ্ঠ দিনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের উপস্থিতি আরও বেড়েছে। গতকাল সন্ধ্যা অব্দি নতুন করে আরও ১৮ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ১৪৫জন অসুস্থ হলেন। কেউ কেউ স্যালাইন নিয়েই অনশন করছেন। অসুস্থদের অধিকাংশই অতিরিক্ত শীতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
অপরদিকে জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে ৫ টি শিক্ষক সংগঠনের জোট বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের ব্যানারে গত বুধবার (১০ই জানুয়ারি) থেকে কনকনে শীতে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন শিক্ষকরা।