অবিরাম দুই দিনের বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি ফের বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় ৫৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশেই বন্যার পানির কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। তাছাড়া কিছু প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করায় সেগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্র জানায়, গত দুই দিনের ভারি বৃষ্টির কারণে ইতোমধ্যেই জেলার ৬ উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যদিও এখন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে কোন পরীক্ষা নেই তবুও নিয়মিত ক্লাস করা এখন সম্ভব হচ্ছে না।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সমাপনীর মডেল টেস্টসহ আগামী ১৯শে আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার আলাউদ্দীন আল আজাদ জানান, বন্যার পানি দ্বিতীয় দফা ঢুকে পড়ায় শিক্ষাকাজে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও পানি ঢুকে পড়ায় ১৬৭টি প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় জানান, যেভাবে নদনদীর পানি বেড়ে চলছে তাতে আরও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করতে পারে। এ নিয়ে জেলার ৪২৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পরীক্ষার চেয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জরুরী বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।