কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং পাবলিক লাইব্রেরিসহ মোট ৭৯টি পাঠাগার প্রায় বিলুপ্তির পথে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলায় প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি করে মোট ৭৯ টি লাইব্রেরি বা পাঠাগার থাকলেও পাঠাগারে আসা পাঠকদের সংখ্যা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে।
সবচেয়ে করুণ অবস্থা হলো পাবলিক পাঠাগার গুলোর। এখানে পাঠকদের আনাগোনা তেমন নাই বললেই চলে। তাই পাঠাগার গুলো প্রায় সময় বন্ধ থাকে। পাঠকদের অনুপস্থিতির কারণে পাঠাগার বন্ধ করা উচিত নয় বলে মনে করেন অনেকেই।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল ভৌমিক জানান, প্রত্যেক পাঠাগারে প্রায় ৫ শত থেকে দু’হাজার পর্যন্ত বই আছে। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। তাই শিক্ষার্থীরা এখন প্রযুক্তির উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। পাঠাগারের বিকল্প হিসেবে তারা বেছে নিয়েছে অনলাইন। অনলাইনে চাইলে ঘরে বসে পাওয়া যায় অনেক বছরের পুরনো বই। তাই পাঠাগারে পাঠকের সংখ্যা কমছে। আর দিনে দিনে লাইব্রেরি গুলো বিলুপ্তি হচ্ছে।
মাধ্যমিক শিক্ষক সমতির সভাপতি আব্দুল লতিফ মোল্লা জানায়, আমাদের সংস্কৃতিতে পাঠাগার মানেই একটি শুদ্ধ স্থান যেখানে শিক্ষার্থীরা বসে জ্ঞান চর্চা করত। আর সেই পাঠাগারে বসে কত মানুষের সুকুমার বৃত্তির বিকাশ ঘটেছে তার উদাহরণ দেয়া যাবে ভুরি ভরি। বন্ধুদের নিয়ে দল বেধে পাঠাগারে বসে পড়াশুনার পাশাপাশি চলতো আড্ডায় মেতে থাকা। প্রতিটি সময়ই ছিল অনেক শিক্ষানীয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম জানায়, একটি সমাজ চিনতে হলে যেতে হবে সেই সমাজের পাঠাগারে। আর সেই পাঠাগারে পড়ুয়া মানুষদের মানসিকতা দেখে বোঝা যাবে সমাজের অবস্থা।