নব প্রতিষ্ঠিত ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, সচিব, বিদ্যালয় ও কলেজ পরিদর্শক পদ নিয়ে চলছে লড়াই। বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে নবম এবং সবমিলিয়ে এগারোতম শিক্ষাবোর্ড ময়মনসিংহ।
বর্তমানে শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রাম বোর্ড বাদে দেশের প্রায় সবগুলো বোর্ডের চেয়াম্যান, সচিব, কলেজ ও বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে শিক্ষামন্ত্রীর সাবেক এপিএস ও বিসিএস শিক্ষা সমিতির এক নেতার পছন্দের কর্মকর্তাদের দখলে রয়েছে। শিক্ষাবোর্ড মানেই টাকার খনি! ভুইফোঁড় স্কুল-কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের পছন্দ মতো কেন্দ্রে পাবলিক পরীক্ষা দেয়ার সুযোগসহ নানাবিধ অনৈতিক কাজে টাকার খেলা চলে।
পদায়ন পেয়ে নতুন অধ্যাপক হওয়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: মোস্তফা কামালকে বোর্ড চেয়ারম্যান অথবা সচিব পদে বসানোর চেষ্টা করছেন মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার একজন অতিরিক্ত সচিব। এই অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর সাবেক এপিএসএর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের খবর সচেতন মহলের জানা। আবার ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আশফাকুস সালেহীনকে বড় পদে বসানোর চেষ্টা করছেন সাবেক এপিএস। চেয়ারম্যান অথবা সচিব অথবা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক যেকোনো একটিতে বসলেই হবে। সাবেক এপিএসর পরীক্ষিত বন্ধু সালেহীন।
দেশের ৯৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বেসরকারি হলেও পাকিস্তান জমানায় সামরিক সরকারের আমল থেকে শিক্ষাবোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানসহ সব বড় পদে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সরকারি কলেজ শিক্ষকদের প্রেষণে/বদলিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। বিএনপি সরকারের আমলে ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে একজন মাত্র বেসরকারি কলেজ অধ্যক্ষকে বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছিলো। সাফল্যের সঙ্গে তিনি বোর্ড পরিচালনা করেন। কিন্তু নব্য জাতীয়কৃত কলেজ শিক্ষকদের আত্তীকরণের বিরোধীতার মতোই বেসরকারি শিক্ষকদের বোর্ড চেয়ারম্যান পদে বসানোর বিরোধীতা করেন। তবে, বিএনপি সরকার শিক্ষা সমিতির ওই বিরোধীতার কোনো পাত্তা দেয়নি। কারণ, বোর্ড পরিচালনা আইন ও বিধানে সরকারি কলেজ শিক্ষকদের পদায়নের বাধ্যবাধকতা নেই।
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সহ-সভাপতি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য-সচিব অধক্ষ্য শরীফ আহমদ সাদী দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, শিক্ষা প্রশাসনে আনুপাতিক হারে সরকারি বেসরকারি শিক্ষকদের পদায়ন করতে হবে।