কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। বুধবার (৪ মে) এ সংক্রান্তে একটি আদেশ জারি করেছে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সাখায়েত হোসেন বিশ্বাস স্বাক্ষরিত একটি আদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুন জারি করা কোচিংবাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা ২০১২ অনুসরণ করার জন্য বলা হয়েছে।সাখায়েত স্বাক্ষরিত আদেশটিতে ২৮ এপ্রিল লেখা থাকলেও বুধবার (৪ মে) অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। নীতিমালাটি অনুসরণ ও সেসিপের পরিচালক, আঞ্চলিক উপ-পরিচালক ও জেলা এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের মনিটরিং করার জন্য বলা হয়েছে।
প্রায় চার বছর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা নীতিমালায় বলা হয়েছিল, সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসার কোনো শিক্ষক তাঁর নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারবেন না। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নিয়ে একদিনে অন্য প্রতিষ্ঠানের সীমিত সংখ্যক (১০ জনের বেশি নয়) শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন।
নীতিমালা জারির শুরুর দিকে কড়াকড়ির কারণে কোচিং-প্রাইভেট কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হলেও কিছুদিন পর শিক্ষকেরা আবারও আগের মতো কোচিং-প্রাইভেটে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলতে সরকারি-বেসরকারি স্কুল (নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক), কলেজ (উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর), মাদ্রাসা (দাখিল, আলিম, ফাজিল, কামিল) ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বোঝাবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষক কোচিং-বাণিজ্যে জড়িত থাকলে তাঁর এমপিও স্থগিত থেকে শুরু করে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত পর্যন্ত করা যাবে। এমপিওর বাইরের কোনো শিক্ষক কোচিং-বাণিজ্যে জড়িত থাকলে প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত বেতন-ভাতা স্থগিতের পাশাপাশি তাঁকেও বরখাস্ত করা যাবে। কোচিং-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে সরকার পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়াসহ প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি, স্বীকৃতি বা অধিভুক্তি বাতিল করতে পারবে। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক কোচিং-বাণিজ্যে জড়িত থাকলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫-এর অধীনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
সাম্প্রতিক সময়ে কোচিং বাণিজ্য বেপরোয়া হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অধিদপ্তর আদেশটি আবার দেয়।