ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে যে কোনো ধরনের সেশন ফি নেওয়ার ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। নানা অজুহাতে ফি বসিয়ে সেশন ফি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২৫ মে রায় দেন যে, ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে কোনো ধরনের সেশন ফি নেওয়া যাবে না। ফি বাড়াতে হলে অভিভাবকদের মতামত নিয়ে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন এবং সেই ম্যানেজিং কমিটি ভর্তি ফি ও টিউশন ফি নির্ধারণ করবে বলে রায়ে বলা হয়।
রায়ের আগে স্কুলগুলো এক সাথে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সেশন ফি নিতো বলে জানান অভিভাবকেরা। কিন্তু রায়ের পরে কৌশলের আশ্রয় নিতে দেখা যায় স্কুলগুলোকে।
স্কুলগুলো এখন লাইব্রেরি চার্জ, এসি ও জেনারেটর চার্জ, বিদ্যুৎ, স্কুল মেইনটেন্যান্স ইত্যাদি বাবদ ফি নিচ্ছে বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। এই তালিকায় গ্রিন ডেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, স্কলাস্টিকাসহ একাধিক স্কুলের নাম রয়েছে।
গ্রিন ডেল গুলশানে তিনটি ক্যাম্পাস পরিচালনা করে আসছে। হাইকোর্টের রায়ের পর এই স্কুল ৮ জুন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফি রিভাইজ করে নোটিশ দেয়।
নোটিশে দেখা যায়, জুনিয়র সেকশনে নিয়মিত ফি’র পাশাপাশি সেশন ফি রিভাইজ করে নানান খাতের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে লাইব্রেরি চার্জ ২০০ টাকা, এসি ও জেনারেটর ব্যাকআপের জন্য ৮০০ টাকা এবং স্কুল মেইনটেন্যান্স ও উন্নয়ন বাবদ আরও এক হাজার টাকার বাড়তি খরচ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এভাবে প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা ধরে বার্ষিক ২৪ হাজার টাকাই দিতে বাধ্য করা হচ্ছে অভিভাবকদের।
এ ব্যাপারে সোমবার (১৯ জুন) বেলা সোয়া ১২টার দিকে গ্রিন ডেল স্কুলের ১ নম্বর শাখায় টেলিফোন করা হলে নিজেকে অ্যাডমিন অফিসার পরিচয় দিয়ে কথা বলেন ফেরদৌস আলম।
বিভিন্ন খাতে বাড়তি ফি আগে নেওয়া হতো না, কিন্তু এখন নেওয়া হচ্ছে কেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে ছিল না, এখন নিচ্ছি। কেন নিচ্ছেন জানতে চাইলে, যা আছে নোটিশে লেখা আছে বলে লাইন কেটে দেন তিনি।
অভিভাবকদের অভিযোগ, এভাবে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে সেশন ফি আদায় করা আদালতের আদেশে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হচ্ছে।
ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে অতিরিক্ত ফি এবং বিভিন্ন অজুহাতে ফি নেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।