ক্যাডারভুক্তির বিরোধীতায় রিট: দশ অ্যামিকাস কিউরি খুঁজছে দুই পক্ষ - দৈনিকশিক্ষা

ক্যাডারভুক্তির বিরোধীতায় রিট: দশ অ্যামিকাস কিউরি খুঁজছে দুই পক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

আদেশের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পাঁচজন করে মোট দশজন অ্যামিকাস কিউরির (আইন সহায়তাকারী) নাম আদালতে জমা দিতে পারেনি সরকার ও রিটকারীরা। নব্য জাতীয়কৃত কলেজ শিক্ষকদের বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুূক্তির বিরোধীতা করে দায়ের করা রিটের শুনানিতে দুই পক্ষকে মোট দশজন অ্যামিকাস কিউরির নাম জমা দিতে বলেছেন। তবে, দশজন অ্যামিকাস কিউরিই হবেন শিক্ষাবিদদের মধ্য থেকে।

দুই সপ্তাহ আগে হাইকোটের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন আদেশ দেন। অ্যামিকাস কিউরিদের নাম পাওয়া গেলে তাঁদের মধ্য থেকে কয়েকজনের বক্তব্য শুনবেন আদালত। হাইকোর্ট, মন্ত্রণালয় ও বি সি এস সমিতিসূত্রে এ খবর জানা গেছে।

জানতে চাইলে বি সি এস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার মঙ্গলবার দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, অ্যামিকাস কিউরিদের নাম চাওয়ার তথ্যটি  দৈনিকশিক্ষার কাছেই শুনলাম। এ বিষয়ে  সবার সঙ্গে আলাপ করে নাম  ঠিক হবে হয়তো।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সচিব মহোদয়ের কাছ থেকে নাম আসলেই আদালতে জমা দেয়া হবে।”

জাতীয়কৃত কলেজ শিক্ষকদের শিক্ষা ক্যাডারভুক্তির বিরোধীতা করে রিট দায়ের করেন শিক্ষা ক্যাডারের দুইজন কর্মকর্তা। রিটের শুনানি চলছে।

কলেজ জাতীয়করণ ও শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্তকরণে সরকার গৃহীত প্রক্রিয়া ও পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৩রা জানুয়ারি সরকারের ওপর রুল জারি করেছেন আদালত।

সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সচিব মো: শাহেদুল খবীর চৌধুরী রিট আবেদনকারী দুইজনের একজন।

‘নো বি সি এস নো ক্যাডার’ ব্যানারধারীদের যুক্তি সরকার সব বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণ করুক কিন্তু শিক্ষকরা ক্যাডারভুক্ত হতে পারবেন না। কারণ, তারা কোনো কঠিন প্রতিযোগীতামূলক  পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষকতায় যোন দেননি। আরো যুক্তি দিচ্ছেন, পরীক্ষা না দিয়ে কীভাবে ক্যাডারভুক্ত হবেন? তাহলে ক্যাডার-নন ক্যাডার পার্থক্য থাকলো কোথায়?

বি সি এস শিক্ষা সমিতির অতীত ও বর্তমানের অনেক নেতৃবৃন্দকে সন্দেহের চোখে দেখছেন তারা। ব্যক্তিস্বার্থে সমিতির তথা ক্যাডারের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে মাসুমে রাব্বানী, আজমতগীরসহ অনেকের বিরুদ্ধে। সমিতির নির্বাচিত মহাসচিব থাকাকালে উপ-সচিব পদের জন্য আবেদন করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে আজতমতগীর।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0087409019470215