জাতীয়কৃত কলেজ শিক্ষকদের সরাসরি বি সি এস শিক্ষা ক্যাডারে আত্তীকরণের বিরোধীতাকারীরা মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে তাদের দাবী পেশ করবেন। একই সঙ্গে দাবী আদায়ে তারা কঠোর আন্দোলনও করবেন।
জানা যায়, ১৫ দিনের মধ্যে বি সি এস শিক্ষা সমিতিকে বিশেষ সভা ডেকে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য করাবেন আত্তীকরণ বিরোধী নবগঠিত ‘শিক্ষা ক্যাডারের মর্যাদা রক্ষা কমিটির’ সদস্যরা।
৩রা জানুয়ারি দায়ের করা রিটের আর্জি ও কাগজপত্র দাখিল করা নিয়ে নেতাদের ভূমিকায় সন্ধিগ্ন ক্যাডারের মর্যাদা রক্ষা কমিটি প্রয়োজনে আলাদাভাবে নতুন করে রিট করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০ জানুয়ারি ঢাকার টিটিসিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।
প্রতিযোগীতামূলক বি সি এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে যোগদানকারী কর্মকর্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে গঠিত ‘বি সি এস শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিট’র নেতৃত্বে রয়েছেন সহকারী অধ্যাপক কামাল আহমেদ ও শওকত হোসেন। মূলত: কতিপয় বিতর্কিত নেতার হাতে জিম্মি হওয়া বি সি এস শিক্ষা সমিতির কর্মকাণ্ডে সন্দেহ ও বিরক্তি প্রকাশ করে ২৪ থেকে ৩৪ তম বি সি এস শিক্ষার সদস্যরা এই কমিটি গঠন করেছেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মর্যাদা রক্ষা কমিটির একাধিক সদস্য দৈনিকশিক্ষাডটকমকে বলেন, আত্তীকরণ বিরোধী তরুণদের সমাবেশে প্রফেসর নেহাল আহমেদ, প্রফেসর আসাফুদ্দৌলা ও সহযোগী অধ্যাপক কুদ্দুছ সিকদার ও ড. রুহুল কাদীরসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সমিতির সভাপতি ও মহাসচিব উপস্থিত না থাকার কঠোর সমালোচনা করা হয় ওই সভায়।
‘৩রা জানুয়ারি দায়ের করা রিট নিয়ে লুকোচুরি করার কঠোর সমালোচনা করা হয় সমিতির দুই/তিনজন বিতর্কিত নেতার। তরুণরা রিট নিয়ে পর্যালোচনা শেষে প্রয়োজন হলে নতুন করে রিট করবেন। আত্তীকরণ বিরোধী আন্দোলন বেগবান করতে সামিতিকে চাপের মুখে রাখার সিদ্ধান্ত হয়,’ একজন অধ্যাপক বলেন।
তিনি আরো বলেন, রিটের নামে সমিতির লাখ লাখ টাকা তুলে নিলেও রিট সম্পর্কে অন্ধকারে রাখা হয়েছে সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, আইনসচিবসহ অধিকাংশ সদস্যদের। অথচ ভোটের সময় ভোটভিক্ষার জন্য ভোটারদের বেডরুমে পর্যন্ত ঢুকে পড়েন হঠাৎ নেতা বনে যাওয়া বিতর্কিত ব্যক্তিরা।
এছাড়াও আত্তীকৃত ১৮ মহিলা কলেজের মামলায় সময় শেষ হবার আগেই আপীল করার উদ্যোগ নেবেন। সমিতিকে ১৫ দিনের মধ্যে সাধারণ সভা ডেকে কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য করবেন মর্যাদা রক্ষা কমিটির সদস্যরা।
কমিটির সুষ্পষ্ট বক্তব্য হলো : ‘সরকারের জাতীয়করণের বিরোধীতা আমরা করছি না তবে, আত্তীকৃত কলেজ শিক্ষকদের শিক্ষা ক্যাডারে মেনে নেয়া হবে না।
‘এলটিপ ও টিটিসির প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে অবৈধভাবে আত্তীকৃত করে শিক্ষা অধিদপ্তর, টিটিসি ও নায়েমসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হয়েছে যা মেনে নেয়া হবে না।’
এসব মামলায় সমিতি নেতাদের ভূমিকা সন্দেহজনক।