“গণমাধ্যম যখন শিক্ষকের ভূমিকায়” - দৈনিকশিক্ষা

“গণমাধ্যম যখন শিক্ষকের ভূমিকায়”

মো. আবুল হোসেন |

গণমাধ্যম কথাটি ব্যাপক, বিস্তৃত এবং গুরুত্ববহ। বর্তমান বিশ্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়ন ও উৎকর্ষ এবং এর ধারাবাহিকতার প্রসার ঘটার কারণে এর গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এক সময় মাইকের শব্দ আমার কানে এলে, মাঠ-ঘাট, খাল-বিল, বন্ধুর পথ পেরিয়ে ছুটে যেতাম কোথায় মাইক বাজছে এবং কি শোনা যাচ্ছে তা শোনার জন্য। তা শোনার জন্য ফাল্গুন-চৈত্রের চাষ করে ফেলে রাখা ফসলি জমির কঠিন মাটির ঢেলায় কখনও কখনও পায়ের আঙ্গুলের কড়া ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হতো। তবুও ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে যেতাম কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, প্রায়ই পেঁৗছানোর পর তা শুনতে পেতাম না, কারণ তখন আয়োজকদের অনুষ্ঠান শেষ।

এরপর এলো রেডিও। কোথায়, কোন গ্রামে কার বাড়িতে রেডিও সেট আছে, তা দেখা ও শোনার জন্য মন আকুলি-বিকুলি করতো, ছুটে যেতাম সেই গ্রামে বা বাড়িতে। কিন্তু দেখা বা শোনার সৌভাগ্য তেমন হয়ে ওঠেনি। আশাহত হয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে প্রায়ই। তখন বয়স কতই বা ১০/১১ বছর হবে। কেন জানি না সেই কৈশোর থেকেই আমার সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ, উৎসুক্য, প্রচার-প্রসারের অদম্য স্পৃহা জাগ্রত হয়, যা আজও রয়ে গেছে।

গ্রাম থেকে শহরে আসার পর আমার উৎসক্য আরও বেড়ে গেল। যখন কোন হোটেলে, চায়ের দোকানে বা পান বিড়ির দোকানে বড় মার্ফি রেডিওর গান কিংবা বিকেলে সিনেমা হলে মাইকে রেকর্ডের গান বাজানো হতো, তখন মনোযোগ সহকারে কান পেতে শুনতাম। রেডিওগুলো মাঝে মাঝে অস্পষ্ট ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভালো শোনা যেতো না, তাও স্পষ্ট শোনার অপেক্ষায় থাকতাম। সিনেমা হলের গানগুলো শুনতে শুনতে, কিছু কিছু অংশ মনে গেঁথে যেতো অর্থাৎ মুখস্ত হয়ে যেতো, যা আজও কিছু কিছু মনে পড়ে।

এরপর পরিবারে একটি হল্যান্ডে তৈরি রেডিও এলো, মহাখুশি কিন্তু পরিবারের কর্তাকে ভয়ও হতো। তখন ঘরে রেডিও শোনার মতো ছোটরাও বেড়ে ওঠেনি এবং বাড়ির মহিলারাও গৃহস্থালী কাজে ব্যস্ত থাকতেন। অপরদিকে বাড়ির কর্তা ব্যবসায়িক কর্মব্যস্ততায় বেশিরভাগ সময় বাড়ি থাকতেন না। তখন রেডিওটি নিয়ে আমিই বেশি সময় ব্যস্ত থাকতাম। ঐ যন্ত্রটি বলা চলে আমার দখলেই থাকতো। এ কারণে মাঝে মাঝে বাড়ির কর্তা বাইরে থেকে এসে দেখতেন আমার বুকের ওপর সেটি বেজেই চলেছে। মাঝে মাঝে ধমক যে খেতে হতো না তা কিন্তু নয়। তবুও সুযোগেরই অপেক্ষায় থাকতাম এবং বিরত কখনও হইনি।

কলকাতা, করাচি, লাহোর ও বিবিধ ভারতি অনুষ্ঠান পর্যায়ক্রমে শুনতাম। একে একে আবার যখন কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যেত, তখন সর্বশেষ লাহোর কেন্দ্র শুনতাম, তারপর লাহোর কেন্দ্রও রাত ১টায় বন্ধ হয়ে যেতো। ধরেই রাখতাম একটা ‘চুঁ’ মতো শব্দ শোনার জন্য। ঘুম না আসা পর্যন্ত কাঁটা ঘোরাতাম, আর কোন কিছু শোনার চেষ্টা করতাম।

তারপর আমার শহরে হাতে গোনা কয়েকটি বাড়িতে এবং অভিজাতদের ঘরে বিটিভি এলো তখনও সুযোগ হয়নি তা দেখার এবং এ নিয়ে মাথাও ঘামাইনি। যখন আমার শহরে বিটিভি এলো, তখন উচ্চ বিদ্যালয়ে শেষ পর্যায়ে পড়াশোনা করি। শুনতাম এখানে বসে লন্ডনের শিল্পীদের গান, নাচ, কথা ও বক্তৃতা একেবারে তৎক্ষণাৎ দেখা যায় সঙ্গে শোনাও যায়। তবে আমার জীবনে বিটিভির প্রভাব পড়তে বেশ সময় লেগেছে। এখন তো পুরো পৃথিবীই আমাদের হাতের মুঠোয়। এখন পৃথিবীর কোন শহরে, কোন গ্রামে, কোন প্রান্তে, কোন ঘরে, কোন প্রতিষ্ঠানে কি হচ্ছে তৎক্ষণিকভাবে আমরা দেখতে ও শুনতে পাই। এক কথায় পৃথিবী জুড়ে কোথায় কি ঘটছে মুহূর্তের মধ্যেই আমরা জানতে পারছি এই গণমাধ্যমের বদৌলতে।

বর্তমানে বাংলাদেশেও গণমাধ্যম একেবারে পিছিয়ে তাও নয়। এগিয়েছে ছাপার মাধ্যম, তথ্য-প্রযুক্তির যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমান সরকারও গণমাধ্যমকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে সংখ্যা বেশি হলে যে মান যথাযথ হবে তা যুক্তিযুক্ত নাও হতে পারে। যে হারে ব্যবসায়ী চিন্তায় সংখ্যা বেড়ে উঠছে, তাতে মান বজায় রাখা এবং চিন্তা- চেতনা যথাযথভাবে কাজ করছে কিনা সে বিষয়ে দর্শক শ্রোতাদের মতামত নেয়া যেতে পারে।

সম্প্রতি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ একটি মাধ্যম ঘোষণা দিয়ে বলছে- সপ্তাহের “প্রতি বুধবার দিন আমাদের দফতরে এসে আপনাদের কোন অভিযোগ থাকলে জানাতে পারেন।” ঢাকা শহরের যানজট, সময় ও ব্যক্তিগত কাজ-কর্ম ফেলে সম্মানিত দর্শকগণ তাদের দফতরে অভিযোগ জানাতে যাবেন? কিভাবে এই আহ্বানের মূল্যায়ন করব! বলব দায়বদ্ধতা কার কাছে কার! দেশে তথ্য অধিকার আইন চালু হয়েছে।

উদ্দেশ্য খুবই মহৎ এবং যুগোপযোগী, কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু যাদের কাছে যেয়ে তথ্য পাবেন এবং যারা তথ্য দেবেন তাদের মানসিকতার পরিবর্তন বা তথ্য অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা বা দায়িত্বশীলতার ওপর এর ফলাফল নির্ভর করে। আবার যারা সেবা নেবেন, তাদের সচেতনতা ও আগ্রহ থাকতে হবে। আশা করা যায় শুরু যখন হয়েছে এর সুফল জনগণ পাবে। লক্ষ্যে পৌঁছানোও সম্ভব হবে। সংশ্লিষ্টদের মন ও মননশীলতার ধারাবাহিক পরিবর্তন ঘটাতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা যারা মানুষকে জানাবেন, প্রচার ও তার প্রসারে সংশ্লিষ্ট আছেন; তাদের দায়িত্বকে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই।

গণমাধ্যমের প্রতি আস্থা

এক সময় বেতারের অধিবেশন কক্ষের নাম্বার যুগাড় করে টেলিফোন করতাম- “এখন ক’টা বাজে?” উত্তর আসতো এতোটা এতো মিনিট। যে সময়টা পেতাম সেটাকেই সঠিক বলে গ্রহণ করতাম। এটা ছিল বিশ্বাস ও আস্থার স্থল। তারপর কখন কেন্দ্র পরিচিতি শুরু; কখন অধিবেশন ঘোষণা, কখন কি হবে অর্থাৎ অনুষ্ঠান পরিচিতি মনোযোগ সহকারে শুনে সে মোতাবেক পছন্দের অনুষ্ঠান শুনতাম। তখন বেতারের প্রতি আগ্রহ, আস্থা, বিশ্বাস এবং গ্রহণযোগ্যতা ছিল সন্দেহাতীত। এ প্রসঙ্গে একটা সত্যি কথা বলতেই হচ্ছে সেটা হলো- ৬০-এর দশক হতে গণমাধ্যম থেকে আমরা শেখা শুরু। ক্রমান্বয়ে দেশ, জাতি, ভাষা, সংস্কৃতি, স্বকীয়তা নিয়ে পাকিস্তানের দুই অংশে যে বিভাজন, তা আমাকে অনুরণিত করে তোলে।

বেতার ও পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে দেশ, জাতি, ভাষা ও সংস্কৃতি দুই পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্য সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের তারতম্য ঋণের বোঝাবহন, চাকরি, শিক্ষা ও ব্যবসা বাণিজ্য ক্ষেত্রে যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছিল দেড় হাজার মাইলের দূরত্ব থেকে মাঝখানে একটি বৃহৎদেশ, যোগাযোগ ব্যবস্থার বন্ধুর পথ এ সবই ভাবাতো আমাকে। এসব চেতনা জাগাতো সহায়তা করতো তৎকালীন দৈনিক পত্রিকাগুলো এবং অন্যান্য লেখালেখি। দুই পাকিস্তানের চেতনাকে একসঙ্গে মজবুত করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে যে সব ডাঁহা মিথ্যা কথা বেতারে প্রচার করা হতো, তা আমার বিশ্বাসযোগ্য মনে হতো না। তবে ৬ দফা পাবার পর চেতনায় সমৃদ্ধ হতে শুরু করলো এবং বাস্তব জীবনে কিছু কিছু পরিবর্তন আনতে শুরু করলাম।

এখানে বলে রাখা ভালো আমার চেতনাকে বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ও আস্থা তৈরিতে তখন একমাত্র অবলম্বন ছিল দৈনিক ইত্তেফাক ও মরহুম মানিক মিয়ার রাজনৈতিক মঞ্চ। এখানে দ্বিধাহীন চিত্তে বলতে পারি আমাকে পথ দেখিয়েছিল ঐ পত্রিকাটি। তখনকার একমাত্র গণমাধ্যম পত্রিকা সাময়িকী ও এই ধারার শ্রদ্ধেয় বাঙ্গালি রাজনৈতিক নেতাদের বক্তৃতা। একুশকে ভিত্তি করে প্রকৃত অর্থে ৬ দফাই আমাকে একজন বাঙ্গালি হতে পথ দেখানো শুরু করে। আর সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হই গণমাধ্যমের দ্বারা অর্থাৎ তখনকার পত্র-পত্রিকা অবলম্বনে। সেই কারণেই ব্যক্তিগতভাবে আমার গণমাধ্যমের কাছে অনেক প্রত্যাশা।

৬ দফা ঘোষণার পর গণমাধ্যমে অর্থাৎ পত্রিকায় পাওয়ার পর চিন্তা, চেতনা ও আদর্শ সঠিক আপন ঠিকানা যা খুঁজে পেল আজও অব্যাহত আছে। ৬ দফা ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই কিছু পরিবর্তন এল আমার জীবনে। বিশেষ করে পাকিস্তানি ছবি দেখা ত্যাগ, পরবর্তিতে উর্দু ছবি দেখা ত্যাগ এবং সর্বশেষে বাংলা ছাড়া কোন ছবি দেখা বন্ধ করে দিলাম, আমার অনুভূতিকে প্রচ-ভাবে নাড়া দিয়েছিল ৬ দফা এবং মনে করি ৬ দফাই স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির মূল শিঁকড় এবং প্রস্তাবনা। পূর্বের বিচ্ছিন্ন বা পর্যায়ক্রমিক আন্দোলনের ইতিহাস তো আছেই।

এবার মূল কথায় আসা যাক, যে কারণে স্বল্প পরিসরে- সংক্ষেপে যা বলতে চাই তা হচ্ছে- গণমাধ্যমকে কেন শিক্ষকের ভূমিকায়, স্বমহিমায়, স্বক্ষেত্রে তৎপর দেখতে চাই। একদিন আমার শহরের একটি গলির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, দেখলাম, ১০/১১ বছরের এক কিশোর লুঙ্গি পরা অবস্থায় রাস্তার পাশে বসানো টাইম কলে গোসল করছে আর গাইছে- “ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ” আমি দাঁড়ালাম না, কারণ ছেলেটি বিব্রত হতে পারে। আবার মাঝেমধ্যেই মানুষের কথোপকথনের সময় কানে এসেছে এবং তারা কথা প্রসঙ্গে বলছে “খবর আছে” ঐ দুটি কথাই গণমাধ্যম থেকে তারা শিখে নিয়েছে। মানুষ শক্তিশালী গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে অনেক জানতে বুঝতে ও শিখতে পারে, এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা একটি বাস্তবসম্মত অনুসঙ্গ।

উপরে যে দুটো উদাহরণ নিয়ে কথা বললাম তা কিন্তু গণমাধ্যমেরই অবদান এবং প্রভাব। আশা করছি সুপ্রিয় পাঠকরাও যদি আমার কথা অবহেলা না করেন, একটু বুঝতে চেষ্টা করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন গণমাধ্যম যা প্রচার করে তা দেশ জাতি ও সমাজের উপর কতটা প্রভাব ফেলে। গণমাধ্যমে যে সব অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়ে থাকে তা আমরা দেখি শুনি বা পড়ি। সেগুলো জীবনাচরণের অনুসঙ্গকেই ঘিরে। সেই কারণেই বলতে হয়, জাতিগঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যমকে সতর্ক থাকতে হবে তারা পাঠকদের কি দিচ্ছেন বা দর্শকদের কি দেখাচ্ছেন সে বিষয়ে। কারণ ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক গণমাধ্যম সারা জীবনের জন্যই জনগণের শিক্ষক।

এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038900375366211