গাংনীতে প্রায় অর্ধশত বছর যাবত্ একটি প্রভাবশালী পরিবার স্কুলের জমি জবরদখল করে অবৈধভাবে দ্বিতলঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। প্রশাসন এসব জেনেও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের ভয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে। জানা গেছে, উপজেলার গাংনী-কুষ্টিয়া প্রধান সড়কের পার্শ্বে ১৯০৪ সালে ১৪ শতক জমির উপর তেরাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়াতে এলাকার অলিনগর গ্রামের জহির শাহ ১৪ শতক জমি দান করেন। পরবর্তীতে স্কুলের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ১৯৬৬ সালে রাস্তার বিপরীত দিকে (তেরাইল বাজারের পশ্চিম দিকে) স্কুল ঘরটি স্থানান্তরিত করা হয়। স্কুল ঘরটি স্থানান্তরিত হলে ওই গ্রামের প্রভাবশালী পরিবারের মৃত নাদের হোসেনের ছেলে আঃ গণি ও তার জামাই আজিজুল হক জোরপূর্বক আগের খালি জায়গা জবরদখলে নিয়ে ঘরবাড়ি স্থাপন করে দাপটের সাথে প্রায় ৫০ বছর অবৈধভাবে বসবাস করে আসছেন। শিক্ষা বিভাগের নামে আর. এস রেকর্ডভুক্ত জমির ওপর কিভাবে একটি গোষ্ঠী জবরদখল করে বসবাস করতে পারে এটি বোধগম্য নয় এলাকার সচেতন মহলের। এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় হলেও স্কুলের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুই জানানো হয় না।
তবে তিনি জানান, স্কুলের পুরাতন জমি নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। পুরাতন স্কুলের কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে তেরাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হওয়ার পর থেকে এ যাবত্ ওই প্রভাবশালী পরিবারের মধ্যেই বার বার সভাপতি মনোনীত করে স্কুলের সম্পদ আত্মসাত্ করা হয়। আরও জানা গেছে, দখলদার আঃ গণি নিজেই কিছুদিন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আঃ গণি নামে-বেনামে স্কুলের জমি ছাড়াও অনেক জমির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে গ্রামে আলোচিত হয়ে আছেন। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আঃ গণি ভুয়া কিছু কাগজপত্র দেখান এবং উক্ত জমি ভুলবশতঃ আর, এস রেকর্ডে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে শিক্ষা বিভাগের নামে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া এতে কোনো সমস্যা নেই, সব ঠিক করে নেব বলে জানান। এ ব্যাপারে বামন্দী ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তার সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
