নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এক শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুষ নেওয়ার মামলায় শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে। ১৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ‘ঘ’ অঞ্চলের আমলি আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন বলে জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলি ওয়াজেদ আলী খোকন।
তদন্ত কর্মকর্তা বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ জানান, আগামী ২৪ মে অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার কথা বলে ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে প্রথমে ২৫ হাজার ও পরে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। পরবর্তী সময়ে আরও ১ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়। এমপিওভুক্ত না হওয়ায় মোর্শেদা বেগম টাকা ফেরত চাইলে অস্বীকার করেন শ্যামল কান্তি। ওই ঘটনায় গত বছরের ২৭ জুলাই মোর্শেদা বেগম বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। আদালত বন্দর থানা-পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।
গত বছরের ১৩ মে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানের নির্দেশে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তখন বিভিন্ন মহল থেকে সেলিম ওসমানের ক্ষমা চাওয়ার দাবি উঠলেও তিনি তা চাননি। ১৪ জুলাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও শিক্ষার্থী রিফাতকে মারধরের অভিযোগে আদালতে দুটি মামলা হয়। আদালত ওই দিন বিকেলে শুনানি শেষে মামলা দুটি খারিজ করে দেন।