দায়িত্বে অবহেলা ও ঘুষ নেয়ার অভিযোগে একজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকায়েপ) কর্তৃপক্ষ।
নওগার আত্রাইয়ের দিঘা দক্ষিণ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম মাহতাব উদ্দিন। ৭ সেপ্টেম্বর সেকায়েপের পরিচালক ড. মো. মাহামুদ-উল-হক স্বাক্ষরিত এক আদেশে মাহাতাব উদ্দিনকে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, মো. মাসুদ রানা, অতিরিক্ত ক্লাশ শিক্ষক (গণিত) হিসেবে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তবে তিনি ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত কোন প্রকার অতিরিক্ত ক্লাস না নিয়ে নিয়মিত অনুপস্থিত থেকে প্রকল্পের অর্থসুবিধা ভোগ করেন। আর এ জন্য মাসুদ রানা ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক মাহাতাব উদ্দিনকে প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে ঘুষ প্রদান করেন।
কারণ দর্শানো নোটিশে বলা হয়, সেকায়েপ প্রকল্পের আওতায় অতিরিক্ত ক্লাস কর্মসূচি বাস্তবায়নে জন্য দিঘা দক্ষিন পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়টিকে নির্বাচন করা হয়। এসিটি কর্মসূচি সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়নের জন্য ওই বিদ্যালয়ে ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের জন্য ৩ জন এসিটি নিয়োগ দেয়া হয়। আর প্রকল্পের এ কর্মসূচি ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা পরিদর্শনের জন্য এসিটি প্রকল্পের জুনিয়র পরামর্শক মো. রায়হান কবিরকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে রায়হান কবির পরিদর্শন শেষে যে প্রতিবেদন জমা দেন তাতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও এসিটির এক জনের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠে আসে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিদ্যালয়ে জন্য সেকায়েপ থেকে দেয়া সকল সহযোগিতা কেন বাতিল করা হবে না তা-ও জানতে চায়। পাশাপাশি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না সে বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মাহাতাব উদ্দিনকে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়। আর এই কারণ দর্শানোর জবাব আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকল্প পরিচালক বরাবর প্রদানের নির্দেশও দেয়া হয়।
জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মাহতাব উদ্দিন ঘুষের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ওই শিক্ষক কেন অনুপস্থিত ছিলেন তা তিনি জানেন না।
বিদেশী অর্থলগ্নীকারীদের কাছ থেকে লোন করা টাকায় পরিচালিত হয় সেকায়েপ। দূর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য গণিত ও ইরেজি বিষয়ে অতিরিক্ত ক্লাশ নেয়ার জন্য বছরে কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয় এ প্রকল্প থেকে।