‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার মানোন্নয়’ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধিভুক্ত সকল কলেজ অধ্যক্ষের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সরকারি কমার্স কলেজ অডিটরিয়ামে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।
এসময় তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশের বৃহত্তম বিশ্বদ্যিালয় নয়, সমগ্র বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। অধিভুক্ত কলেজসমূহের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২১ লাখ শিক্ষার্থী বা দেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রের শতকরা ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। শিক্ষক সংখ্যা ৬০ হাজারের বেশি। অধিভুক্ত কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ হাজার ২ শত। গতানুগতিক পদ্ধতিতে গাজীপুর ক্যাম্পাস থেকে সাড়া দেশব্যাপী বিস্তৃত এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিছুতেই সুষ্ঠুভাবে পরিচালন করা সম্ভব নয়।
ড. হারুন-অর-রশিদ আরো বলেন, পূর্বের ন্যায় এখন আর অধিকাংশ কাজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বশরীরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসে আসতে হচ্ছে না। আর দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সেশনজটকে এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত করে এ থেকে শিক্ষার্থীদের পরিত্রান দেয়ার লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ নামে বিশেষ পদক্ষেপ। ফলে অনেক শিক্ষার্থী সেশনজট থেকে ইতোমধ্যে বের হতে সক্ষম হয়েছে।এ প্রোগ্রাম অনুযায়ী ২০১৮ সালের মধ্যভাগ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সেশনজট থাকবে না। সে সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হবে সম্পূর্ণ সেশনজটমুক্ত। সেশনজটের পর এখন আমাদের সামনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে, কলেজ শিক্ষার মানোন্নয়ন। এটি নি:সন্দেহে সহজসাধ্য বিষয় নয়।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাথেন, অধ্যক্ষ প্রফেসর আইয়ুব ভূইয়া, অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবু সালেহ সেলিম, অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল ওয়াহাব, অধ্যক্ষ প্রফেসর অঞ্চন কুমার নন্দী, অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী, অধ্যক্ষ মতিন মিয়া, অধ্যক্ষ মো. আমজাদ আলী, অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, অধ্যক্ষ রফিক উদ্দিন, অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ দেওয়ান, অধ্যক্ষ এ কে এম গিয়াসউদ্দিন, অধ্যক্ষ জেসমিন আক্তার, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন, অধ্যক্ষ মেজর মো. আসাদুজ্জামান, অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।