ফেসবুকে উসকানিমূলক স্ট্যাটাস দেওয়া এবং এ স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের এক নেতা ও চার কর্মীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী নির্বাহী ক্ষমতাবলে তাঁদের বহিষ্কার করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ নিয়াজ মোরশেদ।
বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা উপসম্পাদক ও পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র পিয়াস সরকার, ছাত্রলীগের কর্মী ও শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র নাছির উদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের মাহমুদুল হাসান, ইতিহাস বিভাগের ইফরাতুল আলম ও আইন অনুষদের মির্জা খবির।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ নিয়াজ মোরশেদ বলেন, উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড ও শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে ছয় মাস করে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার সকালে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় উপাচার্য নির্বাহী ক্ষমতাবলে তাঁদের বহিষ্কার করেন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীকে কটূক্তি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারী ইফরাতুল আলম। এ স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের সভাপতি পক্ষের অনুসারী ও চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০১২-১৩ বর্ষের শিক্ষার্থী মোফাজ্জল হায়দার ওরফে টাইগার মোফাকে কুপিয়ে আহত করেন প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীরা।
২০১৫ সালের ২ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার পর মোফাজ্জল হায়দারের রামদা শাণ দেওয়ার একটি ছবি প্রকাশিত হয়। পরে এ ঘটনায় তাঁকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।