চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালিয়ে এক বস্তা দেশিয় অস্ত্রসহ সন্দেহভাজন ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর দুইটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত দুটি হলে তল্লাশি চালানো হয়। ৩০ জন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। বারবার সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার কারণ উদঘাটনে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোসাদ্দেক হোসাইন বলেন, দেড় ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে দুই হল থেকে এক বস্তা দেশিয় তৈরি রামদা ও রড উদ্ধার করা হয়েছে।
পাশাপাশি সংঘর্ষে লিপ্ত থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজন ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। বারবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় এই দুটি হলে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তল্লাশির সময় হাটহাজারী সার্কেলের এডিসি মো. মশিউদ্দৌলা রেজা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টররা উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আলী আজগর চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা যেন থাকতে না পারে এজন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় এ অভিযান চালানো হয়েছে।এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে বৃহস্পতিবার রাতের সংঘর্ষের জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে লিপ্ত এক পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু ও অন্য পক্ষ সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারী।