লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় নারী ও ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে ছাত্রলীগ নেতা। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার পাটোয়ারী রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মিনাজ হোসেন ইপ্তি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোনাপুর এলাকার নুর হোসেন পাটোয়ারী দীর্ঘদিন থেকে আল্লারদান নামে দোকান চালিয়ে আসছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান ইউসুফ জালাল কিসমতের ছেলে ও ছাত্রলীগ নেতা মিনাজ হাসান ইপ্তি মঙ্গলবার রাতে তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং বুধবার ওই চাঁদা দিয়ে দোকান খুলতে বলে। কিন্তু নুর হোসেন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইপ্তি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং দোকান খুলতে গেলে তার লোকজন হামলা চালায়। খবর পেয়ে নুর হোসেনের চাচা ছালে আহম্মেদ এগিয়ে আসলে ফের দুজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য দেওয়ার পথে ফের ইপ্তি ও তার লোকজন তাদের সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটক করে ভাংচুর ও ছালে আহম্মদের স্ত্রী খুশিদা বেগমসহ তিনজনকে আবারো মারধর করেন। খুশিদার গলার সোনার চেন ও দুটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। এসময় ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়া হয়।
এঘটনায় একাধিকার ইপ্তির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা সোনাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউসুফ জালাল কিসমত বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে আমি তাদের দেখে আসি। চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়েছে। পিটিয়ে জখম করার কথা সত্য নয়।
রায়পুর থানার ওসি একেএম আজিজুর রহমান মিয়া পিটিয়ে আহত করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের থানায় অভিযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। তবে চাঁদার বিষয়টি আমাকে কেউ বলেনি। অভিযোগ করলে ঘটনায় সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।