`2৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছরে উন্নতকরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। এ জন্য এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২৬ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
পরিষদের সভাপতি আলামিন রাজু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করা প্রয়োজন। কারণ উন্নত বিশ্বকে আমরা অনুসরণ করে শিক্ষা, চিকিত্সা, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছি। তদ্রূপ চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বকে অনুসরণ করে দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সফলতা অর্জন করতে পারি। উন্নত বিশ্বে কোথাও চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ নেই। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ভারতে ৩৯, শ্রীলংকায় ৪৫, মালয়েশিয়ায় ৩৫, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৫, সিঙ্গাপুরে ৪০, সুইডেনে ৪৭, কাতারে ৩৫, নরওয়েতে ৩৫, ফ্রান্স ৪০, যুক্তরাষ্ট্রে ৫৯, কানাডায় ৫৯, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪০ এবং আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে প্রবেশের নির্দিষ্ট কোনো বয়স সীমা নেই, শুধু অবসরের আছে।
বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে যুব সমাজকে কাজে লাগাতে হবে। বৃদ্ধদের নয়। যুবনীতি ২০১৭ তে বলা হয়েছে, নতুন যুবনীতিতে যুবদের বয়স আগের মতো ১৮-৩৫ বছর রাখা হয়েছে। যে দেশে মানুষের গড় আয়ু ৭১, সেখানে ৩০ এ কিভাবে পৌঢ় হয় বরং ৩০-৪০ হচ্ছে মানুষের পরিপূর্ণ যৌবন অর্থাৎ সুবর্ণ সময় যা কর্মক্ষেত্রে লাগানোর উপযুক্ত সময়। যারা বলছেন ৩০ এর পর মানুষ বুড়া হয় তাদের এই মতবাদ যুবনীতি অনুসারে ভ্রান্ত। গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল বলেছেন, ৩০ বছর পর্যন্ত মানুষ শুধু পড়াশোনা করবে এবং ৩০ এর পর তাকে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে।
গণতন্ত্র হচ্ছে সংখ্যা গরিষ্ঠদের মতামতের প্রতিফলন । চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ প্রসঙ্গে বিভিন্ন মিডিয়া জরিপে হ্যাঁ ভোট জয়ী হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, দৈনিক সমকাল- ৯৬.৭১%, দৈনিক প্রথম আলো-৯২%, দৈনিক কালের কণ্ঠ- ৮৫.৭% ও এন,টি,ভি- ৮৭%।
এর পরেও যদি দাবিটি বাস্তবায়ন না করা হয় তাহলে গণতন্ত্রকে যে সংখ্যা গরিষ্ঠ স্বৈরাচার বলা হয় তারই বাস্তব প্রতিফলন ঘটবে।