বাগেরহাটের চিতলমারী ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের জেএসসি’র পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য ৩০০টাকা করে নেওয়া হয়েছে। সেই সাথে বাধ্যতামূলক কোচিংয়ের জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ৩ হাজার টাকা ধার্য্য করা হয়েছে। আর কোচিংয়ের টাকা না দিলে পূরণকৃত ফরম বাতিল করে দেয়া হবে বলে কয়েকজন শিক্ষক হুমকি দিচ্ছেন। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে ওই স্কুলের জেএসসি পরীক্ষার্থীরা।
এসব অভিযোগ তুলে ধরে বুধবার (৯ই আগস্ট) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন কয়েকজন অভিভাবক।
অভিযোগ পত্রে জানাগেছে, ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের জেএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে ১০০ টাকা ও সেন্টার ফি ১৫০ টাকা ধার্য্য থাকলেও নেওয়া হয়েছে ৩০০ টাকা করে। আর পরীক্ষার্থীদের কোচিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইংরেজি প্রথম পত্র, ইংরেজি ২য় পত্র, গনিত ও বিজ্ঞান মোট ৪ টি বিষয়ের কোচিং ফি ধার্য্য করা হয়েছে ৩ হাজার টাকা। আর কোচিংয়ের টাকা না দিলে পূরণকৃত ফরম বাতিল করে দেয়া হবে বলে কয়েকজন শিক্ষক হুমকি দিচ্ছেন। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে ওই স্কুলের জেএসসি পরীক্ষার্থীরা।
অভিভাবক শহীদুল ইসলাম, শেখ আজিজুল, মোজাহিদ শেখ ও আসলাম শেখসহ অনেকে অভিযোগ করে জানান, কোচিংয়ের টাকা নিয়ে তারা বিপদে পড়েছেন। কিছুদিন আগে অতিবৃষ্টিতে চিংড়ি ঘেরের মাছ ও সবজি ক্ষেত শেষ। এখন তারা এই অতিরিক্ত টাকা দিবেন কি ভাবে? ওদিকে স্যারের ভয়ে তটস্ত ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে চাচ্ছে না। তারা আরও জানান, ওই স্কুলের শিক্ষক রীতা মন্ডল তার কাছে ইংরেজি বিষয়ে না পড়লে তিনি পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করে রেখেছেন।
শিক্ষিকা রীতা মন্ডল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ক্লাসে মেধায় দুর্বল ছাত্রদের জন্য তিনি সহযোগিতা করেন।
ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরেদ্র নাথ রানা মুঠোফোনে জানান, কোচিংয়ের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে কয়েকজন শিক্ষক এ নিয়ে তৎপর রয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মফিজুর রহমান জানান, অভিযোগপত্রটি এখনও তার হাতে পৌঁছাইনি। অভিযোগটি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান