ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণার আভাস দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ছাত্রদলের কমিটি হবে। যেকোনো কারণেই হোক, অনেক দিন কমিটি হতে পারেনি বিধায় সেশন জটের মতো ছাত্রদলের কমিটিতেও ‘জট’ তৈরি হয়েছে। সে জন্য ছাত্রদলে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৩৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ছাত্রদলকে গতিশীল করার জন্য উপযুক্ত, দলের প্রতি অনুগত, আন্দোলন-সংগ্রামে থাকবে এবং ছাত্রত্ব আছে—এমন ছাত্রদের দিয়ে সংগঠন করতে হবে। তিনি বলেন, ছাত্রদলের কমিটি হবে। যেকোনো কারণেই হোক, অনেক দিন কমিটি হতে পারেনি বিধায় সেশন জটের মতো ছাত্রদলের কমিটিতেও ‘জট’ তৈরি হয়েছে। সে জন্য ছাত্রদলে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘কেউ যদি ছাত্রদলে জায়গা না পায়, তাকে অন্য আরও জায়গা আছে, সেখানে দেওয়া হবে। তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে। এভাবে ছাত্রদলকে গোছাতে চাই। যাকে যা দেওয়া হবে, তা আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে। সে মানসিকতা রাখতে হবে। না হলে নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুড়াল মারবে।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমি বাদ পড়েছি বলে অমুক ভাই-তমুক ভাই আমাদের দেয়নি। সে জন্য তাদের গালিগালাজ করব, সেটাও বোধ হয় ঠিক হবে না।
ছাত্রদলের প্রত্যেকে আমার ছেলের মতো। যাকে যতটা পারা যায়, প্রত্যেককেই মূল্যায়ন করতে চাই। আমি বলতে চাই না কেউ বাদ পড়ে যাচ্ছে। কিছু হয়তো হতে পারে। তাদের জন্য যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মূল দল আছে।’ তিনি ছাত্রদলকে সুশৃঙ্খল ও সিনিয়রদের সম্মান জানানোর শিক্ষা নিতে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেন।
খালেদা জিয়া ছাত্রদলের নেতাদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমাদের বয়স হয়েছে, আমরা চলে যাব। তোমরা যাতে আমাদের জায়গা পূরণ করতে পার, সেভাবে তোমাদের তৈরি হতে হবে।’
ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাবেক নেতা শামসুজ্জামান দুদু, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, শফিউল বারী বাবু, শিরিন সুলতানা, সুলতান সালাহ উদ্দিন, আবদুল কাদের ভূঁইয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আকরামুল হাসান। শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।