কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ইফতার অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে সংগঠনের একটি পক্ষ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ে এ হামলায় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
হামলায় গুলিবিদ্ধ রাজগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. সবুজকে (২৪) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সবুজের কপালে শটগানের গুলির জখম রয়েছে।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে রাজগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ। ওই কমিটিতে স্থান না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয় মোহাম্মদ আলীসহ সংগঠনের একটি পক্ষ। ওই পক্ষের ২০ থেকে ২৫ জন কর্মী সন্ধ্যায় রাজগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ে ইফতার অনুষ্ঠান চলাকালে সশস্ত্র হামলা চালান। তাঁরা এ সময় এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন।
এতে পাঁচজন আহত হন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইফতার অনুষ্ঠানে হামলা চালানোর সময় হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। একপর্যায়ে তাঁরা রাজগঞ্জ বাজারের তিন-চারটি দোকানেও হামলা চালায়। এতে বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর বাজারের অনেক ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ রাখেন।
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল আলম ওরফে সৈকত বলেন, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেউ নয়। এঁরা এলাকার ছাত্রলীগ নামধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী। মোহাম্মদ আলী, রাসেল, ফয়েজসহ ২০ থেকে ২৫ জন ইফতার অনুষ্ঠান চলাকালে অতর্কিতে অনুষ্ঠানস্থলে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে কমপক্ষে চার-পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ইফতার অনুষ্ঠানে হামলা চালায় অপর একটি পক্ষ। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে দোকানে হামলার সত্যতা পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।