সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচ কর্মী আহত হয়েছেন। ছাত্রলীগের এক পক্ষের এক কর্মীকে মারধর করার জের ধরে গতকাল রোববার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ওই ঘটনা ঘটে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় একাধিক পক্ষে বিভক্ত রয়েছে সংগঠনটি। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম পক্ষের কর্মী ফাহিম আহমদ দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এক পক্ষের হাতে প্রহৃত হন।
এ ঘটনার জের ধরে সায়নুল আবেদীনের পক্ষের কর্মীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে মহড়া দেন। পরে ফাহিমের পক্ষের কর্মীরা ক্যাম্পাসে গেলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ফাহিমের পক্ষের হামলায় ছাত্রলীগের কর্মী রাব্বি ও আবিদ আহত হন। পরে দুই পক্ষে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে পল্লব পক্ষের সাহেত ও জামিল আহত হন।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন চক্রবর্তী বলেন, খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা থেকে পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থলে অবস্থান নিলে দুপক্ষই ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। আবুল কাশেম পক্ষের জাফর আহমদ বলেন, ফাহিমকে মারধর করার প্রতিবাদ জানাতে কর্মীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিলে তারা (অপরপক্ষ) সশস্ত্র হামলা চালানোর প্রস্তুতি নেয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিরোধ করতে গিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। অপরদিকে সায়নুল আবেদীন বলেন, ফাহিম ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে মারধরের শিকার হন। ঘটনাটি রাজনৈতিক বলে প্রচার চালানোয় ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রতিবাদ জানাতে গেলে সংঘর্ষ হয়।