গাইবান্ধার পলাশবাড়ী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্রদলের সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত মিছিলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আকস্মিক হামলা চালালে সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়। এ সময় উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলের অন্তত ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে শটগানের গুলি ছোড়ে। ফলে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ছাত্রদলের আহত নেতাকর্মীরা হলেন থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু সরকার, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সবুজ মিয়া, আবু হানিফ, আল মামুন, কলেজ ছাত্রদল নেতা রাজিব মিয়া, সিদ্দিক হোসেন, মাহমুদ হাসান, নয়ন মিয়া, সাব্বির হোসেন, পৌর ছাত্রদল যুগ্ম আহ্বায়ক মিলন, শামীম রেজা, আপেল, কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সুমন মিয়া, সাদ্দাম হোসেন, জাহিদ হাসান ও মমিনুল ইসলাম নিশান। আহতরা উপজেলা সদরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। পলাশবাড়ী থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু সরকার জানান, কলেজ ছাত্রদলের ২০ জুলাইয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে সোমবার কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আগাম অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। কর্তৃপক্ষ ছাত্রদলকে লিখিত অনুমতি না দিলেও মৌখিক অনুমতি দেয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ছাত্রদলের একটি মিছিল উপজেলা সদর প্রদক্ষিণ করে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করে। উভয়পক্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
পলাশবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রাসেল তাদের পক্ষ থেকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা কলেজেই ছিলাম। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কলেজে ঢুকে মিছিল থেকে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েক কর্মী আহত হয়। পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল আলম বলেন, ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।