সিলেট নগরের সোবহানীঘাট এলাকায় জালালাবাদ কলেজের সামনে গত সোমবার দুপুরে কুপিয়ে ছাত্রলীগের এক কর্মীর হাত বিচ্ছিন্ন ও আরেক কর্মীর হাত-পায়ের রগ কাটার ঘটনায় কলেজশিক্ষকদের মদদ রয়েছে বলে দাবি করেছে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ। গতকাল বুধবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে তাঁরা এ দাবি করে মদদদাতা কলেজশিক্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল বাছিতরুম্মান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। বক্তব্যে বলা হয়, ছাত্রলীগের আহত দুই কর্মী আহমদ শাহিন ও আবুল কালাম আসীফ মহানগর ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। তাঁরা জালালাবাদ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। অতীতে এ কলেজের ছাত্র ও শিক্ষকেরা সরাসরি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি শাহিন ও আসীফ প্রত্যক্ষ করে প্রতিবাদও করেছেন। এ জন্য জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্য ছিলেন দুজন।
গত সোমবার হামলার কারণ সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কলেজকে শিবিরমুক্ত করতে নানা প্রগতিশীল কার্যক্রম ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে জামায়াত-শিবিরপন্থী অধ্যক্ষ ও কিছু শিক্ষক দুজনকে দেখা করতে বলেন। ঘটনার দিন জালালাবাদ কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় ওৎ পেতে থাকা জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা দুজনের ওপর হামলা চালিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের আহত দুই কর্মীর শারীরিক অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে বলা হয়, ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহিনের ডান হাত গত মঙ্গলবার রাতে কেটে ফেলা হয়েছে। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আসীফের হাত ও পায়ের রগ কেটে যাওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল আলীম ও সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের এমন দাবি প্রসঙ্গে গতকাল বিকেলে যোগাযোগ করলে জালালাবাদ কলেজের অধ্যক্ষ এ বাকী চৌধুরী বলেন, ‘ওই দিন আহত প্রাক্তন শিক্ষার্থী শাহিন ও আসীফ আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেনি। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ রাজনীতিমুক্ত। সুতরাং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও ছাত্রদের কোনো রাজনৈতিক দলের বলে চিহ্নিতকরণ সম্ভব না।’