নগরীতে ছাত্রলীগ কর্মী খুনের ঘটনায় আর কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোন মামলাও করেনি।
রোববার (১২ই ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর মোহাম্মদ।
তিনি বলেন, দাফন নিয়ে পরিবারের সদস্যরা ব্যস্ত আছেন। দাফন শেষে নগরীতে এসে তারা থানায় মামলা করতে আসবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
অভ্যন্তরীণ মতবিরোধের জেরে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মারামারিতে ইয়াছিন আরাফাত (২২) নামে একজন নিহত এবং হারুনুর রশীদ (২৪) নামে একজন গুরুতর আহত হন।
নিহত ইয়াছিন আরাফাত সরকারি সিটি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সম্মান শ্রেণীর তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ইয়াছিন সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের মো.কামাল উদ্দিনের ছেলে। নগরীর বাকলিয়া ডিসি রোডে কামাল উদ্দিনের বাসা হলেও ইয়াছিস রিয়াজউদ্দিন বাজারের চৈতন্য গলিতে ব্যাচেলর মেসে থাকতেন।
আহত হারুনুর রশীদও সাতকানিয়া পৌরসভা এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে। সরকারি সিটি কলেজের বিএসএস পাশ কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাদের বাসা নগরীর নন্দনকানন এলাকায়।
ইয়াছিন এবং হারুন উভয়ই নগর ছাত্রলীগের উপ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আহাদের অনুসারী। সিটি কলেজকেন্দ্রিক ছাত্রলীগ নেতা আহাদ আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী ও সাদেক হোসেন পাপ্পুর অনুসারী। আবার জামশেদুল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসির অনুসারী হিসেবে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে পরিচিত।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত হারুনুর রশীদকে আটক করে পুলিশ। হারুনুর এখনও হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন আছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর মোহাম্মদ।