ঢাবিতে ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতাকে বেধড়ক পিটিয়েছে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কতিপয় ‘উচ্ছৃংখল’ কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এ ঘটনা ঘটে।
সবার সামনে মারধর করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ধর্ম সম্পাদক সোহাগ মাহমুদ কে। যদিও ছাত্রলীগ নেতাদের দাবী, সোহাগ মাহমুদ নামের ওই নেতা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুপুরের দিকে মধুর ক্যানটিনে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন তাঁর অনুসারীদের নিয়ে বসে ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সোহাগ মাহমুদ ওই টেবিলে বসেন। এর কিছুক্ষণ পরই তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
সাধারণ সম্পাদক তাঁকে সেখান থেকে উঠে যেতে বলেন। একপর্যায়ে মোতাহার হোসেনের অনুসারীরা সোহাগকে টেনে হিঁচড়ে মারতে মারতে মধুর ক্যানটিন থেকে বের করে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবন পর্যন্ত নিয়ে যান। এ সময় তাঁরা ছাত্রদলের নেতাকে মারছেন বলে চিৎকার করে উল্লাস করেন। পরে তাঁকে প্রক্টরের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
মোতাহার হোসেন বলেন, ‘উনি অনেক আগের কমিটির নেতা ছিলেন। আমরা চিনতাম না। তিনি টেবিলে বসেই আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “তোর নাম কী? তোরে কে নেতা বানাইছে? ” এসব শুনে জুনিয়র কর্মীরা তাঁকে মারধর করে ক্যানটিনের বাইরে বের করে দিয়েছে। পরে আমিই গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে প্রক্টরের হাতে তুলে দিয়েছি।’
মোতাহার হোসেনের দাবি করেন, ‘ওই নেতা মানসিকভাবে অসংলগ্ন অবস্থায় ছিলেন।’
সোহাগের কমিটির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সোহাগ কখনো কারও ক্ষতি করতেন না। প্রায়ই মধুর ক্যানটিনে যেতেন। টেবিলে চুপচাপ বসে থেকে চলে যেতেন। তাঁকে মারধর করার ঘটনা অমানবিক। ‘উচ্ছৃংখল’ কয়েকজন নেতা তাকে বেধড়ক পিটিয়েছে’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এম আমজাদ আলী বলেন, সোহাগকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।