শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও পুলিশ পেটানোর ঘটনায় বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বেনজির আহমেদকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে ছাত্রলীগের সরকারি আজিজুল কলেজ শাখা কমিটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগকে গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টায় পাঠানো এক চিঠিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈমুর রাজ্জাক এবং সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায় দুজনই মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অসীম কুমার রায় বলেন, বেনজিরকে বহিষ্কারের কারণ হিসেবে চিঠিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও পুলিশকে মারধরের কথা উল্লেখ রয়েছে। আর সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়ানোয় সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সরকারি আজিজুল হক কলেজের পুরাতন ভবন এলাকায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বগুড়া শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগীদের গোলযোগ বাধে। এ সময় ছুরিকাঘাতে খুন হন কলেজের বাংলা বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহীম হোসেন। পরে পুলিশ হত্যাকারীদের সহযোগিতা করেছে—এমন অভিযোগে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল শুরু করেন। এ সময় কলেজের নতুন ভবনের সামনে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বেনজির আহমেদের হাতে লাঞ্ছিত হন শহরের স্টেডিয়াম ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আল মামুন। এ ঘটনায় বেনজিরকে প্রধান আসামি করে পুলিশ মামলা করে। তারপর থেকেই বেনজির পলাতক।
জেলা ছাত্রলীগ সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একটি দল ঘটনা তদন্ত করতে বগুড়ায় আসে। তদন্ত শেষে ঢাকায় ফিরে দলটি সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগ কমিটি ভেঙে দেওয়ার এবং সভাপতি বেনজিরকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে।