বগুড়া জেলার সবচাইতে পুরাতন নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে সপ্তাহ জুড়ে ক্লাস বর্জন, মহাসড়কে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। জাতীয়করণের দাবীতে উত্তাল হয়ে উঠছে নন্দীগ্রাম।
১৬ই অক্টোবর সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে তালা ঝুলিয়ে সব ধরনের ক্লাস বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা। সপ্তাহ জুড়ে ক্লাস বর্জন করে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে কলেজ জাতীয়করেণের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন ছাত্র আন্দোলন পরিচালনা কমিটি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্র আন্দোলন পরিচালনা কমিটি আহ্বায়ক আহম্মেদ জয় শুভ।
সর্বশেষ সারা দেশে আরও ২৩টি কলেজকে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। ওই তালিকায় নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রী কলেজের নাম না থাকায় আন্দোলনে নেমেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। সরকারের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও স্বার্থান্বেষী একটি বিশেষ মহলের ইশারায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে জাতীয়করণ করা হয়নি বলে দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে দেখা যায, শিক্ষকার কলেজে উপস্থিত হলেও শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করার তারা কোনও ক্লাস নিতে পারছেন না। রওববার সকাল থেকেই কলেজ গেটের সামনে বগুড়া-নাটোর মহসড়কে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধর ও দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
এছাড়াও দুপুর ১২টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের কিছু শিক্ষক জানান, যথাস্থানে টাকা না দেওয়ার কারণে আমাদের কলেজ বাদ দিয়ে অন্য একটি কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার জানামতে জাতীয়করণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত কোথাও কোনও উৎকোচ দেওয়ার সুযোগ নেই। নীতিমালা অনুযায়ী কলেজ জাতীয়করণ করা হয়। আমাদের কলেজ জাতীয়করণের জন্য এলাকার সাংসদের সুপারিশ ছিল।
তিনি আরো বলেন, জাতীয়করণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকার তালিকায় উপজেলার শীর্ষে ছিল এই কলেজ। জাতীয়করণের নীতি মালা অনুযায়ী কলেজটি সকল মানদণ্ড উত্তীর্ণ হওয়া শর্তেও অদৃশ্য কারণে এই কলেজটির নাম জাতীয়করণের তালিকায় আসেনি। এতে করে আমরা হতাশ। অচিরেই আমাদের কলেজ জাতীয়করণের তালিকায় দেওয়ার জন্য সরকারের নিকট আবেদন জানাচ্ছি।