জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে স্কুল কলেজ ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবিরাম ধর্মঘট শুরু করবেন। শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে ৯টি সংগঠনের মোর্চার পক্ষ থেকে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়। তবে, অবিরাম ধর্মঘটের আগে ৯ জানুয়ারি সব উপজেলা সদরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেবেন তারা। ২৮ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির জাতীয়করণ ছাড়াও অন্যান্য দাবীর মধ্যে রয়েছে সরকারি শিক্ষকদের ন্যায় পাঁচ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও নববর্ষ ভাতা, বাড়ী ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা। অনুপাত প্রথা বিলুপ্ত করে সহকারি অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিতে হবে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারি প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারি প্রধান শিক্ষকদের অনুরুপ দিতে হবে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণট্রাস্টের মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধা দেয়ার পরিবর্তে অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ পেনশন চালু করতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ আসাদুল হক বলেন,মাত্র ১ হাজার কোটি টাকা হলে সকল শিক্ষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা সম্ভব। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তা হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক-কর্মচারি সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দীক,বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির প্রফেসর নূর মোহাম্মদ তালুকদার, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম এ আওয়াল সিদ্দিকী, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো: আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো.ফয়েজ হোসেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. মহসীন রেজা,বাংলাদেশ কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী,বাংলাদেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারি ফেডারেশনের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবিব,বাংলাদেশ কর্মচরি সমিতির সভাপতি মো. শহীদ মোল্লা,বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম,বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর,বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিলকিস জামান,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারি ফেডারেশনের সভাপতি মো. ফকরুদ্দীন জিগার প্রমুখ।