মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ এবং আসন্ন বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। দাবি আদায়ে ৩১শে জুলাই কর্মবিরতি ও শিক্ষকদের গণস্বাক্ষর এবং মানবন্ধন কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তারা।
সএমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারিদের ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি, বৈশাখী ভাতা, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাড়া প্রদানেরও দাবি করেন তারা।
সোমবার (২২শে মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক।
শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়িত হলে দেশে অসম্প্রদায়িক, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক যুগোপযোগী শিক্ষা প্রবর্তন করা সম্ভব হতো। প্রাথমিক শিক্ষার মতো মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয় করণ করা হলে মাধ্যমিকস্তরে শিক্ষার্থী ভর্তি লক্ষমাত্রা অর্জন হতো বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
বিচ্ছিন্নভাবে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করার মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন সমিতির নেতৃবৃন্দ।
মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করার লক্ষ্যে ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১লা থেকে ২০শে জুন পর্যন্ত জাতীয়করণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সংসদ সদস্য, শিক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাত ও মতবিনিময় করবেন সমিতির নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও ২৬শে জুলাই সারাদেশে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করবেন শিক্ষকবৃন্দ। ৩১শে জুলাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে। এছাড়া ১লা থেকে ২০শে আগস্ট জাতীয়করণের পক্ষে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের স্বাক্ষর সংগ্রহ এবং ১০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংগৃহীত স্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো: আবুল কাশেম, বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের সমালোচনা করে বলেন, দেশে অনেক শিক্ষক সংগঠন আছে। কিন্তু বেশিরভাগ শিক্ষক সংগঠন গড়ে উঠেছে নিজেদের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। শিক্ষকদের অধিকার নিয়ে বেশিরভাগ শিক্ষক সংগঠন কথা বলে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাবি আদায়ের কাজ করার আহবান জানান তিনি।
উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো: আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি রঞ্জিত কুমার সাহা, অধ্যক্ষ মো: বজলুর রহমান মিয়া, আলী আসগর হাওলাদার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো: কাওছার আলী শেখ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মণি হালদার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম নুরুন্নাহার, সাংস্কৃতি সম্পাদক হেনা রাণী রায়, দপ্তর সম্পাদক মো: ইকবাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যাপক আবু জামিল মো: সেলিম।