জাতীয়কৃত কলেজ শিক্ষকদের নন-ক্যাডার ঘোষণার দাবিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সদস্যরা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর প্রাঙ্গনে সমাবেশ ও শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করবেন আজ বৃহস্পতিবার।
‘বিসিএস ছাড়া ক্যাডারভুক্তি নয়’ এই স্লোগান ধরে শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা অধিদপ্তর, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরসহ ঢাকা ও আশেপাশের সব সরকারি কলেজ শিক্ষকরা সকাল এগারোটায় শিক্ষা ভবন প্রাঙ্গনে জমায়েত হয়ে সমাবেশে অংশ নেবেন।
বুধবার সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত না করে তাদের জন্য পৃথক বিধিমালা প্রনয়ণ, পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ, শিক্ষা ক্যাডারে ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি, ১৯৮৩ সালের এনাম কমিটির প্যাটার্ণ মোতাবেক প্রাপ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক চুড়ান্তকৃত প্রায় ১৪ হাজার নতুন পদ সৃষ্টি, পদসোপান প্রণয়ন ও পূর্ণ গড় বেতনে অর্জিত ছুটির দাবিতে সমাবেশ করা হবে। একই দাবিতে স্মারকলিপিও দেয়া হবে।
সমিতির সভাপতি প্রফেসর আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার, মহাসচিব মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী, মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ মণি এবং অন্যান্য নেতৃবন্দের উপস্থিতিতে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শিক্ষামন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
বি সি এস ক্যাডার সদস্যরা মূলত: সরকারি কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষক। শিক্ষা অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও বোর্ড অফিসেও তাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়।
পিএসসির অধীনে এক হাজার অথবা ৬০০ নম্বরের প্রতিযোগীতামূলক প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বি সি এস ক্যাডার অফিসার পদে যোগদানকারীরা প্রকৃত শিক্ষা ক্যাডার মনে করেন। আবার পিএসসির অধীনেই ১০০ অথবা ২০০ নম্বরের শুধু মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারী কলেজে যোগদানকারীরাও প্রকৃত শিক্ষা ক্যাডার মনে করেন। আবার শুধু ৫০ নম্বরের ভাইভা দিয়ে যোগদানকারীরাও ক্যাডার দাবি করেন। আবার সরকারি/বেসরকারি কলেজ থেকে ১০ শতাংশ কোটায় এবং টিটিসিতে প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ পেয়ে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভূক্ত হয়েও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালকসহ শিক্ষা প্রশাসনের বড় বড় পদ বাগাচ্ছেন অনেকেই। তারাও শিক্ষা ক্যাডার মনে করেন। এছাড়াও বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের পর হাজার হাজার শিক্ষক আত্তীকৃত হয়ে শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন গত ত্রিশ বছরের বেশি সময়ে। তারাও শিক্ষা ক্যাডার মনে করেন।
বি সি এস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ১২ হাজার সদস্যের মধ্যে অন্তত সাড়ে তিন হাজার রয়েছেন বিভিন্ন সময়ে জাতীয়করণ হওয়া কলেজ থেকে আত্তীকৃত। এই সমিতিই এখন জাতীয়কৃত কলেজ শিক্ষকদের নন-ক্যাডার ঘোষণার দাবীতে আন্দোলন/সমাবেশ করছেন, স্মারকলিপি দিচ্ছেন।