জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে কমপক্ষে নয়টি বিভাগে উন্নয়ন ফি বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ‘কুপন ফি’ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসব বর্ধিত ফি বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি শুরু হয়েছে।
উপাচার্য ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘আমরা যেহেতু প্রয়োজনীয় অর্থ দিয়ে সহায়তা করতে পারি না, তাই বিভাগগুলোকে ফি কিছুটা বাড়াতে হয়। তবে ফি বৃদ্ধি সীমিত রাখার কথা বলেছিলাম।’
সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অর্থনীতি বিভাগে এ বছর উন্নয়ন ফি পাঁচ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে সাত হাজার টাকা করা হয়েছে। ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে এক হাজার টাকা বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা করা হয়েছে। নৃবিজ্ঞান ও লোকপ্রশাসন বিভাগে পাঁচ শ টাকা করে বাড়িয়ে যথাক্রমে পাঁচ হাজার ও ছয় হাজার টাকা করা হয়েছে। নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে উন্নয়ন ফি এক হাজার টাকা বাড়িয়ে নয় হাজার টাকা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে এক হাজার টাকা বাড়িয়ে ছয় হাজার টাকা করা হয়েছে। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে উন্নয়ন ফি দুই হাজার টাকা বাড়িয়ে আট হাজার টাকা করা হয়েছে। প্রাণিবিদ্যা বিভাগে দুই হাজার টাকা বাড়িয়ে ছয় হাজার টাকা করা হয়েছে। গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের রসায়ন বিভাগে উন্নয়ন ফি দুই হাজার টাকা বাড়িয়ে আট হাজার টাকা করা হয়েছে।
গতকাল বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি তন্ময় ধর ও সাধারণ সম্পাদক দীপাঞ্জন সিদ্ধান্তের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিভাগ উন্নয়ন ফি বাড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়ে তা বাতিলের দাবি করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে আট হাজার টাকা উন্নয়ন ফি নেওয়ার পরও কুপন ফির নামে আরও দুই হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে।
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি শাহেদুর রহমান বলেন, এটা আসলে বিভাগ উন্নয়ন ফি।