জালিয়াতি করে এমপিওভুক্তি করায় ১২ জন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
শোকজ পাওয়া অফিসাররা হলেন: গোপালগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, কোটালীপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার, তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপ-পরিচালক, নেত্রকোনা জেলা শিক্ষা অফিসার, পূ্র্বধলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, পূর্বধলা উপজেলার হাফেজ জিয়াউর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক, নোয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসার ও সুধারাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত নোটিশ গত ৮ আগস্ট তাঁদেরকে দেয়া হয়েছে।
কারণ দর্শানোর আলাদা নোটিশে বলা হয়, উৎপাদন ব্যবস্থা ও বিপণন এবং ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা বিষয়ের বোর্ড স্বীকৃতি ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বরের পর হওয়ায় সরকারি প্রজ্ঞাপন অমান্য করে কেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের তাঁরা এমপিওভুক্ত করেছেন এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলো। আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যে নোটিশের জবাব না দিলে এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বঙ্গরত্ন ডিগ্রি কলেজের উৎপাদন ব্যবস্থা ও বিপণন বিষয়ের প্রভাষক অজিত কুমার মন্ডল এ বছরের জানুয়ারী মাসে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। এ শিক্ষক যে আবেদনপত্রের ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত হয়েছেন তাঁর হার্ডকপি শিক্ষা অধিদপ্তরে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলেও মুকসুদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তা দাখিল করেননি।
একই জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার নেছার উদ্দিন কলেজের উৎপাদন ব্যবস্থা ও বিপণন বিষয়ের প্রভাষক নিমচাঁদ হাওলাদার এ বছরের জানুয়ারী মাসে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। এ শিক্ষক যে আবেদনপত্রের ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত হয়েছেন তাঁর হার্ডকপি শিক্ষা অধিদপ্তরে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোটালীপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তা দাখিল করেননি।
গোপালগঞ্জ জেলার এ দুই শিক্ষকের হার্ডকপি দাখিল না করায় জেলা শিক্ষা অফিসারকেও শোকজ করা হয়েছে।
একই রকম অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার ও তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এ জেলার তালা উপজেলার পার্টিকেল ঘাটা এইচ আর কলেজের উৎপাদন ব্যবস্থা ও বিপণন বিষয়ের প্রভাষক পলাশ ঘোষ এ বছরের জানুয়ারি মাসে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। এ শিক্ষক যে আবেদনপত্রের ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত হয়েছেন তাঁর হার্ডকপি শিক্ষা অধিদপ্তরে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলেও দুই শিক্ষা অফিসারের কেউই তা দাখিল করেননি।
নেত্রকোনা পূর্বধলা ডিগ্রি কলেজের উৎপাদন ব্যবস্থা ও বিপণন বিষয়ের প্রভাষক জাফরিন সুলতানা ও হাফেজ জিয়াউর রহমান কলেজের নাদিরুজ্জামান গত মার্চ মাসে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। ওই দুই শিক্ষক যে আবেদনপত্রের ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত হয়েছেন তাঁর হার্ডকপি শিক্ষা অধিদপ্তরে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপ-পরিচালক, নেত্রকোনা জেলা শিক্ষা অফিসার ও পূ্র্বধলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কেউই তা দাখিল করেননি।
এদিকে, এমপিওভুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয় স্বীকৃতির প্রয়োজন হয়। উৎপাদন ব্যবস্থা ও বিপণন বিষয়ের স্বীকৃতির কপি ও সর্বশেষ বিষয় স্বীকৃতির নবায়নের মূল কপি গত ৩০ মের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। তবে হাফেজ জিয়াউর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ তা দাখিল করেননি।
নোয়াখালী সুধারাম উপজেলার চরমটুয়া কলেজের ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা বিষয়ের প্রভাষক মাজেদুল ইসলাম এ বছরের মার্চ মাসে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। এ শিক্ষক যে আবেদনপত্রের ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত হয়েছেন তাঁর হার্ডকপি শিক্ষা অধিদপ্তরে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক, নোয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসার ও সুধারাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কেউই তা দাখিল করেননি।